সাত মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমদানি-রপ্তানি
ফাইল ছবি

চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারিতে দেশের রপ্তানি আয় গত অর্থবছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সাত মাসে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে মোট ৩২ হাজার ৪৪৭ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার অধিকাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে।

বৃহস্পতিবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

ইপিবির সর্বশেষ পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের এই পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এই জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রপ্তানি আয়ও ছিল কৌশলগত রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৩২ হাজার ৪৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অপেক্ষা ০ দশমিক ০৩ শতাংশ বেশি। যদিও, একক মাসে রপ্তানি আয় হিসেবে এই জানুয়ারিতে ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে, মোট ৫১৩৬ দশমিক ২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের জানুয়ারি মাসে এই রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৪৮৫০ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ইপিবি’র এই পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রপ্তানি আয়ের অধিকাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এই খাত থেকে ২৭,৪১৮ দশমিক ০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা মোট রপ্তানি আয়ের ১৪.৩১ শতাংশ। আবার এই তৈরি পোশাক খাতের সিংহভাগ ১৪,৯৬০ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন বা ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ এসেছে নিটওয়্যার থেকে। এরপরেই রপ্তানি আয়ে অবদান রেখেছে ওভেনওয়্যার। রপ্তানিতে এর অবদান ১২,৪৫৭ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ।

বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)’র পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও গত কয়েক মাস ধরে তৈরি পোশাক খাত প্রতি মাসে গড়ে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রপ্তানি করে যাচ্ছে। চলতি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এ বছর মন্দার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এছাড়াও বৈশ্বিক অর্থনীতি কম প্রবৃদ্ধি ও উচ্চ মুদ্রাস্ফিতির কবলে পড়েছে।

এদিকে ইতিবাচক ধারায় আছে প্রবাসী আয়ও। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধরে) যার অংক প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। এর আগের মাস ডিসেম্বরে যা ছিল ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে জানুয়ারিতে ২৫ কোটি ৯১ লাখ ডলার বেশি এসেছে রেমিট্যান্স।

শেয়ার করুন