সেন্টমার্টিন নিয়ে সংসদীয় কমিটির উদ্বেগ প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ, পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

আজ শনিবার বিকেলে সেন্টমার্টিনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভা শেষে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

universel cardiac hospital

তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে এসেছিলাম। ওই সময় দ্বীপটি প্রাকৃতিক পরিবেশ ছিল বিমোহিত। দ্বীপজুড়ে প্রবাল পাথর, নীল জলরাশির স্রোত, কেয়াবনের জঙ্গল। যা সকলের মন জুড়ে যেত। কিন্তু বর্তমানে এসে দ্বীপটি পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, এখানে (সেন্টমার্টিন) অপরিকল্পিত অবকাঠামো আর সার্বিক অবস্থা দ্বীপকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ৫ বছর পর দ্বীপটি থাকবে কিনা সন্দেহ রয়েছে।’

স্থায়ী কমিটির সভা করতে কমিটির নেতারা দ্বীপে গিয়ে পৌঁছে দুপুর ১২ টার দিকে। ওখানে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তারা। এরপর সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, কানিজ ফাতেমা আহাম্মদ এমপি, পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পর্যটন সচিব মোকাম্মেল হোসেন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিনুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমদ চৌধুরী ও আবদুর রহমান বদি।

সভায় উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি বলেন, আমরা পর্যটন বিকাশের কথা বলে বেড়াই। এখানে পর্যটনের নামে সরকারি রাজস্ব আদায়ের চিন্তা কারও নেই। যা হচ্ছে ব্যক্তি বিশেষের টাকা আদায়। গত ৮ বছর আগে নাফনদীতে এলজিইডি’র অধীনে ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি জেটি নির্মাণ হয়। কিন্তু ওই জেটিটি কোনোভাবে ব্যবহার হয় না। অপরিকল্পিত ও অস্থায়ীভাবে দমদমিয়ার জেটি থেকে জাহাজ চলাচল করে। যে টাকা যাচ্ছে ব্যক্তির কাছে, সরকার পাচ্ছে না।

আবদুর রহমান বদি সেন্টমার্টিনের জেটিটি ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে জেটিটি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছে হস্তান্তরের দাবি জানান।

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এসব বিষয় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেন।

শেয়ার করুন