সাত বছরের শিশু হত্যা: ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

আদালত
ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকার কদমতলীর শ্যামপুর এলাকায় সাত বছরের শিশু আব্দুল্লাহকে হত্যার দায়ে ২ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

universel cardiac hospital

আসামিরা হলেন মো. হানিফ ও জাহিদ হোসেন। এর মধ্যে আসামি হানিফকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড পাশাপাশি পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং জাহিদ হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে পাঁচ মাস সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ নাজমুল হুদা বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। যেহেতু মামলার ১ নম্বর আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আমরা তার সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করেছিলাম। প্রত্যাশিত রায় পাইনি তাই আমরা উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আব্দুল্লাহর মা আয়েশা আক্তার বলেন, আমার সাত বছরের ছেলে আব্দুল্লাহকে পাথর দিয়ে আঘাত করে নির্মম হত্যা করেছে হানিফ আর জাহিদ। আমি ছয় বছর থেকে আদালতে আসি আমার ছেলে হত্যার বিচারের আশায়। তারা এই মামলায় জামিন পেয়ে আমাকে ও আমার স্বামীকে অনেক ভয়ভীতি দেখিয়েছে।

শেষমেশ টাকার বিনিময়ে আপস করতে চেয়েছে। আমি আপস করিনি। এ রায়ে আমি খুশি। যেহেতু আসামিরা বাইরে তাই আমি আমার পরিবার নিয়ে শঙ্কায় আছি। তারা যেকোনো সময় আমাদের ক্ষতি করতে পারে। তাই আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামিরা সাত বছর বয়সী আব্দুল্লাহকে কদমতলী থানার উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরির পশ্চিম পাশের বাউন্ডারী ওয়ালের ভেতরে পতিত জায়গায় নিয়ে যান সেখানে পাথর দিয়ে মাথায় ও মুখে আঘাত করে হত্যা করে। এরপর পাথর দিয়েই চাপা দিয়ে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় কদমতলী থানায় অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের হয়।

২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপ-পরিদর্শক এরশাদ হোসেন আদালতে হানিফ ও জাহিদ হোসেন নামে দুইজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৮ সালের ১১ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/২০১ ধারায় অভিযোগ গঠনের মামলার বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালীন আদালত বিভিন্ন সময়ে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন