দলের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী মনোনয়নের দায়িত্ব আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের নেতা দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাতে সংসদ ভবনের সরকারি দলের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি সংসদীয় দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দিয়েছি। সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমাদের দলের ঐক্যের প্রতীক দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাবেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, চিফ হুইপ নূর–ই–আলম চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেন।
জানা গেছে, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেবেন। এর আগে দলের প্রার্থী কে, তা প্রকাশ করা হবে না।
সূত্র জানায়, সভায় বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ সদস্যদের এলাকামুখী হতে বলেন। তিনি বলেন, উন্নয়ন কাজ চলছে, চলবে। কিন্তু মানুষের কাছে ভোট চাইতে হবে।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সিইসির কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১২ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি এবং প্রত্যাহার করা যাবে ১৪ ফেব্রুয়ারি।
এরপর সংসদ ভবনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। অবশ্য রাষ্ট্রপতি পদে একক প্রার্থী হলে ভোট গ্রহণের প্রয়োজন হবে না। ১৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিনেই একক প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনের পর একাধিক প্রার্থী থাকায় একবার মাত্র রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের প্রয়োজন হয়েছে। এছাড়া প্রতিবারই একক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯৯১ সালে ক্ষমতাসীন বিএনপির পাশাপাশি তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি পদে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ায় সেবার রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের প্রয়োজন হয়েছিল।