বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, আমার এই বয়স পর্যন্ত যত ক্রীড়াবিদ দেখেছি তাদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল। তাঁর স্ত্রী সুলতানা কামালও একজন খ্যাতিমান ক্রীড়াবিদ ছিলেন।
৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ‘জেলা পর্যায়ে শেখ কামাল আন্তঃ স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা-২০২৩’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, শেখ কামালের নেশা জাতীয় কোনো অভ্যাস ছিল না; এমনকি ওনি ধূমপানও করতেন না। খেলাধুলা ছিল তাঁর একমাত্র আগ্রহ; এটা নিয়েই তিনি সারাজীবন ছিলেন। আমি মনে করি, শেখ কামালের আদর্শ অনুসরণ করে আমাদের দেশের তরুণ ছাত্র ও যুবারা একদিন একটি নেশা ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন করতে পারবে এবং ক্রীড়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকাকে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করে তুলে ধরতে পারবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্রীড়ার আধুনিকায়নের পেছনে শেখ কামালের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। সুতরাং তাঁকে ঘিরে স্কুল-কলেজ, উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সরকারের এই আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) মো. জিয়াউল হক মীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
এই প্রতিযোগিতায় ৩২টি ইভেন্টে অংশ গ্রহণ করেন ৯ উপজেলার স্কুল ও মাদ্রাসার মোট ৯৬ জন অ্যাথলেটিকস।