আদতে বিপিএলের এ ম্যাচ ছিল গুরুত্বহীন। কেননা ফরচুন বরিশাল প্লে-অফে সেরা দুইয়ের বাইরে চলে গেছে, খুলনা টাইগার্স তো বিদায় নিয়েছে আগেভাগেই। কিন্তু গ্রুপপর্বের শুক্রবারের গুরুত্বহীন এই ম্যাচটিই রীতিমত জমিয়ে দিলো মিরপুর শেরে বাংলা।
রুদ্ধশ্বাস লড়াই হলো। যে লড়াইটি শেষ ওভারে ৬ উইকেট আর ৩ বল হাতে রেখে জিতলো খুলনা টাইগার্স। এতে ১২ ম্যাচে তিন জয় নিয়ে শেষ করলো ইয়াসির আলি রাব্বির দল।
প্লে-অফে নাম লেখানো বরিশাল হারলো নিজেদের পঞ্চম ম্যাচ। সাকিবের দল গ্রুপপর্ব শেষ করলো চার নম্বরে থেকে।
লক্ষ্য ছিল ১৭০ রানের। ১১ ওভারে ৩ উইকেটে মাত্র ৭৬ রান তুলতে পেরেছিল খুলনা। সেখান থেকে মাহমুদুল হাসান জয়ের দুর্দান্ত এক ইনিংস আর শেষদিকে হাবিবুর রহমান সোহানের ক্যামিওতে দুর্দান্ত এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খুলনা।
জয় ৪৩ বলে ৫ চার আর ২ ছক্কায় খেলেন হার না মানা ৬৪ রানের ইনিংস। হাবিবুর রহমান ৯ বলে ৩০ রানের ঝড় তুলতে ২টি চারের সঙ্গে হাঁকান ৩টি ছক্কা। তিনি ম্যাচটি শেষও করেছেন ছক্কা দিয়ে।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়া ফরচুন বরিশাল ৮ উইকেটে তোলে ১৬৯ রান। টসে দেখা যায় চমক, সাকিবের বদলে টস করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। চমক ছিল ওপেনিং জুটিতেও। এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তবে রিয়াদ ওপরে এসে সুবিধা করতে পারেননি। ৯ বলে ৯ করেই ফিরে যান সাজঘরে। চতুরঙ্গ ডি সিলভা ওয়ান ডাউনে নেমে ১৩ বলে করেন ১৪। সাকিব ফেরেন ১৪ বলে ২২ রানের ছোট এক ঝড় তুলে।
এরপর ধীরগতির এনামুল বিজয়ও ২৯ বলে ২৮ করে ফিরলে বিপদে পড়ে বরিশাল। ৭৭ রানে হারায় ৪ উইকেট। সেখান থেকে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের ব্যাটে লড়াকু পুঁজি গড়ে সাকিবের দল।
প্রিটোরিয়াস এই ম্যাচের আগেই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। তবে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে একদমই সমস্যা হয়নি। ২৯ বলে তিনি খেলেন ৪৮ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস, যে ইনিংসে ২টি চারের সঙ্গে হাঁকান ৪টি ছক্কা।
এছাড়া ইব্রাহিম জাদরান ১৫ বলে ২১ আর শেষদিকে করিম জানাত ৯ বলে খেলেন ১৮ রানের ইনিংস।
খুলনার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ২০ রান খরচায় একাই নেন ৪টি উইকেট। দুটি করে উইকেট শিকার নাসুম আহমেদ আর হাসান মুরাদ।