রোহিঙ্গা সমস্যা আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসনে সব দেশকে সক্রিয়ভাবে কাজ করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত বালি প্রসেস ফোরামের মানবপাচার ও চোরাচালান এবং এ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক অপরাধবিষয়ক অষ্টম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।
ড. মোমেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টিতে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন। মানবিক সাহায্যের পাশাপাশি শরণার্থী ভিসা প্রদানের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের গ্রহণের বিষয়টি অস্ট্রেলিয়া বিবেচনা করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অনিয়মিত অভিবাসনের মূল কারণগুলোর মূলোৎপাটনে বিশ্ব নেতাদের কাজ করার আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বালি প্রসেস যেন সমস্যার সাময়িক উপশমের উপলক্ষ না হয়।
তিনি বলেন, যুদ্ধ ও সহিংসতা, দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত, ক্রমবর্ধমান বৈষম্য, নিয়মিত অভিবাসনের স্বল্পতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীর মতো সমস্যাগুলো অনিয়মিত অভিবাসন বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে, যা বিশ্বের নীতি নির্ধারকদের সম্মুখে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। তাই, বালি প্রসেসকে কার্যকর করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অনিয়মিত অভিবাসনের মূল কারণ চিহ্নিত করে তা মোকাবিলায় ভূমিকা রাখতে হবে।
ড. মোমেন সম্মেলনের সাইড লাইনে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়াং এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নীলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন।
সম্মেলনে ড. মোমেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আসিয়ানের সদস্য দেশগুলোকে যুক্ত করতে এবং এ বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে ইন্দোনেশিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন।
এর আগে প্রররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।