সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশালের জন্য ১৭০ রানও যথেষ্ট হলো না। তরুণ ব্যাটার শামীম হোসেন পাটোয়ারির দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুণ্যে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৩ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় রংপুর রাইডার্স।
৫১ বলে ৭১ রান করেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার মারেন তিনি। শামীম হোসেন পাটোয়ারী ছাড়া মাঝারি মানের দু’তিনটি ইনিংস খেলেন রনি তালুকদার, লঙ্কান দাসুন সানাকা এবং শেখ মাহদি হাসান।
সাকিব, মিরাজ, কামরুল ইসলাম রাব্বি কিংবা খালেদ আহমেদদের লড়াই কোনো কাজেই আসলো না। শেষ ওভারের তৃতীয় বলেই জয় তুলে নিয়েছে রংপুরের রাইডার্সরা।
বরিশালকে বিদায় করে দিলেও রংপুরের ফাইনাল নিশ্চিত নয়। কারণ, এটা ছিল এলিমিনেটরের ম্যাচ। রংপুরকে এখন অপেক্ষায় থাকতে হবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লা এবং সিলেটের মধ্যকার ম্যাচে পরাজিত দলের। রংপুর এবং ওই পরাজিত দল মিলে খেলবে কোয়ালিফায়ার-২।
১৭১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মোহাম্মদ নাইমের উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে রংপুর। ৫ বল খেলে কোনো রানই করতে পারেন না নাইম। তবে রনি তালুকদার আর শামীম হোসেন পাটোয়ারী মিলে ৬১ রানের জুটি গড়ে রংপুরকে জয়ের ভিত গড়ে দেন।
১৯ বলে ২৯ রান করে আউট হয়ে যান রনি তালুকদার। এরপর নুরুল হাসান সোহান জুটি বাধেন শামীমের সঙ্গে। এ দু’জন গড়েন ৩৫ রানের জুটি। ১৩ বলে ১৮ রান করে আউট হন সোহান। এরপর নিকোলাস পুরান এসে মাত্র ৫ রান যোগ করেন। ১৪০ রানের মাথায় আউট হয়ে যান শামীম হোসেন পাটোয়ারীও।
ডোয়াইন ব্রাভো ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হলেন। করলেন কেবল ২ রান। তবে দাসুন সানাকা এবং মাহেদী হাসান অপরাজিত থেকে দলকে জয় এনে দেন। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৬ রান। প্রথম বল ডট গেলেও পরের দুই বলে দুটি বাউন্ডারি মেরে দেন মাহদি হাসান।
বরিশালের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান, কামরুল ইসলাম রাব্বি এবং খালেদ আহমেদ।