দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হওয়ায় তাঁকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ সোমবার এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, বৃহত্তর পাবনা জেলা ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি এবং জেলা যুবলীগের প্রাক্তন সভাপতি, পরবর্তী সময়ে একজন বিচারক হিসেবে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বরোচিত হামলার (হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন) তদন্তে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তাঁর নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠন করে।
তিনি আরও বলেন, ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তিনি একজন বরেণ্য লেখকও বটে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ১৯৬৯ সাল থেকে তাঁর সঙ্গে পরিচিত। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে, বিশেষ করে ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একতরফা নির্বাচনের প্রতিবাদে ‘জনতার মঞ্চ’ গঠনে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি।
মোকতাদির চৌধুরী আরও বলেন, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর মতো একজন বহুমাত্রিক প্রভিভার অধিকারী সজ্জন এবং মুজিবাদর্শে বিশ্বাসী মানুষ দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়াতে আমরা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের মানুষেরা আনন্দে উদ্বেলিত। আমাদের প্রত্যাশা, একজন দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে রাষ্ট্রের এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে তিনি অতীতের ন্যায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখবেন। আমি তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ আয়ু কামনা করছি।