সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে লেনদেনে ধীরগতি রয়েছে। পাশাপাশি দাম বাড়ার তালিকায় যে কয়টি প্রতিষ্ঠান নাম লিখিয়েছে তার থেকে বেশি দাম কমার তালিকায় রয়েছে।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মাত্র ১৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি টাকার কম।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেন সূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। তবে এই বাজারটিতেও লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি দাম বাড়ার থেকে দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের সময় দুই মিনিট না গড়াতেই বদলে যায় বাজার পরিস্থিতি।
লেনদেনে অংশ নেওয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় নাম লেখায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দাম কমার তালিকা। ফলে মূল্যসূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে ডিএসইতে ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৩টির। আর ৬০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৪ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট। এসময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৯ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৩ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৫১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩টির, কমেছে ১৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির।