ত্রিপুরায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিধানসভা নির্বাচন। প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। আজ বুধবার সব দলের প্রার্থীই নিজ নিজ এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিভৃত বৈঠকে ব্যস্ত। কীভাবে বুথে বুথে ভোট পরিচালনা করা হবে, তা নিয়েই চলছে লম্বা বৈঠক। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকার।
ত্রিপুরায় ৩ হাজার ৩৩৭টি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। আর ভোটার সংখ্যা ২৮ লাখ ১৪ হাজার ৫৮৪। রাজ্যে মোট ৬০টি আসনে নির্বাচন হবে। সব দল ও নির্দলীয় মিলিয়ে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ২৫৯। এর মধ্যে বিজেপি ৫৫ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। তাদের জোটসঙ্গী তফসিলি উপজাতি দল ইন্ডিজিনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা প্রার্থী দিয়েছে বাকি ৫ আসনে। অপর উপজাতীয় দল তিপ্রা মথা প্রার্থী দিয়েছে ৪২ আসনে।
আসন সমঝোতা করে নির্বাচন লড়ছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। বামফ্রন্ট প্রার্থী দিয়েছে ৪৭ আসনে এবং সমর্থন করছে একজন নির্দলীয় প্রার্থীকে। কংগ্রেস ১৩ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ২৮ আসনে।
রাজ্যে ২৫৯ প্রার্থীর মধ্যে ৪১ জন বা ১৬ শতাংশের নামে ফৌজদারি (ক্রিমিনাল) মামলা রয়েছে। বিজেপির ৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯ জনের (১৬ শতাংশ) নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, কংগ্রেসে ১৩ জনের মধ্যে ৭ জন, অর্থাৎ ৫৪ শতাংশের নামে মামলা রয়েছে এবং সিপিআইএম দলে ৪৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জনের (৩০ শতাংশ) নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে বলে একটি সর্বভারতীয় নির্বাচনী স্বচ্ছতা বিষয়ক নাগরিক সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস জানিয়েছে।
নিরাপত্তার স্বার্থে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। ভারতের ভেতরে আসাম এবং মিজোরামের সঙ্গে ত্রিপুরার সীমান্তও বন্ধ রাখা হয়েছে। সবাই যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, তার জন্য প্রচার চালাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
মোটামুটিভাবে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা প্রায় ৫০। তার সঙ্গে রয়েছে আরও ২০ হাজার রাজ্য পুলিশ ও রাজ্যের আধা সামরিক বাহিনী।