পাকিস্তানের করাচিতে পুলিশপ্রধানের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে একদল বন্দুকধারী। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার পরপরই এ হামলা চালানো হয়েছে। এরই মধ্যে শারিয়া ফয়সাল এলাকায় অবস্থিত ওই কার্যালয়ে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন’র প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
হামলার পরপরই সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যপমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ জানিয়েছেন, তারা অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হওয়ার তথ্য পেয়েছেন। কিন্তু এখনো নিশ্চিতভাবে বিষয়টি বলা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, পুলিশপ্রধান কার্যালয়ের পাঁচ তলা ভবনটির তিন তলায় অভিযান চলছে। অন্য দুটি তলা ও ছাদে এখনো অভিযান শুরু হয়নি।
অন্তত ৮ থেকে ১০ জন অস্ত্রধারী এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
মুরাদ আলি শাহ বলেছেন, এ হামলার ঘটনায় প্রাদেশিক সরকার সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছে। এ মুহূর্তে পুলিশপ্রধান করাচিতে নেই। যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
ডন নিউজের খবরে বলা হয়েছে, করাচির শারিয়া ফয়সাল এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টা দিকে গোলাগুলি শুরু হয়। সেখানে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ফয়সাল ঘাঁটি রয়েছে। এছাড়া পুলিশপ্রধানের কার্যালয়ের পাশেই সাদ্দার পুলিশ স্টেশন। ওই পুলিশ স্টেশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারাও হামলার শিকার হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
করাচি দক্ষিণের ডিআইজি ইরফান বালচ জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত পর্যন্ত গোলাগুলি চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি জঙ্গিদের জীবিত অথবা মৃত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে হামলায় হতাহতদের সংখ্যা বা এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানাননি তিনি।
এরই মধ্যে ভবনটির চতুর্থ তলায় শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হামলাকারীদের কেউ আত্মঘাতী হয়েছেন। বিস্ফোরণের পরই পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
স্থানীয় পুলিশ সূত্র বলছে, বন্দুকধারীরা পুলিশের পোশাক পরে ওই ভবনে প্রবেশ করে এবং হামলা চালায়।
এদিকে পাকিস্তানে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গিগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে। ২০১১ সালেও করাচির একটি নৌঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার করেছিল জঙ্গিগোষ্ঠীটি।
সবশেষ গত ১৪ জানুয়ারি পাকিস্তানের পেশোয়ারে একটি থানায় সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধের সময় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হন। ওই হামলার দায়ও স্বীকার করে টিটিপি।