দেশে প্রচুর অবৈধ অস্ত্র আসছে, উদ্ধারে অভিযানের সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ে অস্ত্র কারখানার সন্ধান
সংগৃহীত ছবি

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সরকার জানতে পেরেছে, বর্তমানে দেশে প্রচুর অবৈধ অস্ত্র আসছে। এ অবৈধ ও বেআইনি অস্ত্র উদ্বেগজনক। এ জন্য সেগুলো উদ্ধারে অভিযান চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি।

আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সভা হয়। শেষে সাংবাদিকদের সভার সিদ্ধান্ত জানান কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সভায় বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সচিব ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

universel cardiac hospital

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে রিপোর্ট এসেছে, বর্তমানে প্রচুর অবৈধ অস্ত্র এ দেশে আসছে। অনেকেই জাল লাইসেন্স বানিয়ে নিয়েছে। সে জন্য লাইসেন্স যাচাই-বাছাই এবং অবৈধ অস্ত্র ধরার জন্য বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে আছে, সেসব অঞ্চলে অভিযান চালানোর জন্য বলা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান করতে বলা হয়েছে। চোরাকারবারি বা যাদের বিষয়ে তথ্য থাকবে, তাদের ঘিরেই অভিযান হবে। সাধারণ মানুষ যেন ভীতসন্ত্রস্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়েও সভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানান আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ওই সময় ভেজাল রোধে যেন সব সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জোগান যেন ঠিক থাকে, সে জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।

মাদক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সভায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি বলেন, মাদক জাতির জন্য বড় উদ্বেগের ব্যাপার। মাদক নিয়ন্ত্রণে কলাকৌশল বৃদ্ধি করার জন্য বলা হয়েছে। মাদক বিক্রেতা ও সেবীদের তালিকা করা হবে। বিভিন্ন সংস্থা থেকে তালিকা হবে। সেগুলো জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে যাচাই করে একটি তালিকা করা হব। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তা প্রকাশ করা হবে না।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, এমন কিছু যাতে না ঘটে, বিষয়ে সচেতন হতে বলা হয় সভা থেকে। উদ্যোগ নেওয়ার পরও সাইবার অপরাধের বিষয়ে প্রতিকারের লক্ষ্যে এ দেশে ইউটিউব, ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানের অফিস করতে না পারাকে ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। এ জন্য এ উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে সভা থেকে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর অনেকে অনেক দিবাস্বপ্ন দেখেছেন। মানুষ আতঙ্কিত ছিল যে কী করে, কী ঘটে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে, সফলতার সঙ্গে সেগুলো মোকাবিলা করেছে। বর্তমানে বরাবরের মতোই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। সে জন্য সভা থেকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন