বঙ্গোপসাগরের ভাসানচরে বসবাসরত বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (এফডিএমএন) জন্য উন্নততর সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা দেখে বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছেন ঢাকায় অবস্থানরত বেশ কয়েক জন বিদেশি রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘ ও বিশ্ব সংস্থার প্রতিনিধি ও কর্মকর্তা।
১৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) এ তথ্য জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, জাতিসংঘের চার দূত ও প্রতিনিধিসহ ১৬ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সশরীরে রোহিঙ্গাদের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বঙ্গোপসাগরের ভাসানচর দ্বীপ পরিদর্শন করেছেন। জাপান, চীন, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি, ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশে ডব্লিউএফপি’র অফিসার-ইন-চার্জ পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণকালে এই মনোভাব প্রকাশ করেন।
বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অর্থ সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
হেলিকপ্টারযোগে ভাসানচরে পৌঁছার পরপরই মুখ্য সচিব ও পররাষ্ট্র সচিব বক্তব্য রাখেন এবং ভাসানচরের আরআরআরসি ও প্রকল্প পরিচালক ভাসানচরে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের জীবন যাপন সুযোগ-সুবিধা ও তাদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে পরিদর্শনকারী প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেন।
প্রতিনিধি দল মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে শিক্ষা গ্রহণকারী রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষাকেন্দ্র, হাসপাতাল, বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়কেন্দ্র, বাজার, খেলার মাঠ ইত্যাদি পরিদর্শন করেন।
এসময় রাষ্ট্রদূতরা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের বিপুল সংখ্যক নাগরিককে এভাবে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের এমন দৃষ্টান্তমূলক মানবিক পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ভাসানচরে তাদের জন্য উন্নততর সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করার প্রশংসা করেন।