ভোটাধিকার প্রয়োগে বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত সচেতন বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছে। বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু তার ভোটের বিষয়ে সচেতন। কেউ যদি ভোট চুরি করে তা দেশের মানুষ মেনে নেয় না।
আজ রোববার মিরপুর বালুর মাঠে কালশী ফ্লাইওভারের উদ্বোধন উপলক্ষে এক সুধী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপি জনগণের ভোট চুরি করে। খালেদা জিয়া নিজেকে প্রাইম মিনিস্টার ঘোষণা করেন। কিন্তু জনগণ তা মেনে নেয়নি। খালেদা জিয়া ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ ভোটচোরকে কখনো গ্রহণ করে না’।
অনেক সংগ্রামের পর জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকারে বিশ্বাস করে। জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। আমরা ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকারে এসেছি। আমরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় আছি বলেই আজকে বাংলাদেশকে উন্নত করতে পেরেছি।
‘জাতির পিতা যেখানে স্বল্পোন্নত দেশ রেখে গিয়েছিলেন আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আমরা পেয়েছি। এই মর্যাদা বাস্তবায়ন করেই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তার সরকারের নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আর পেছনে ফিরে তাকাবে না। কারো মুখাপেক্ষী হবে না। আমরা নিজের ক্ষেতের ফসল ফলাবো, নিজের দেশকে উন্নত করবো। কারো কাছে হাত পেতে চলবো না।
ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না—জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই উক্তি উদ্ধৃত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বলেন, আমরা সম্মানের সঙ্গে বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। কারো কাছে হাত পেতে চলবো না। সেজন্য সকলের জন্য আবেদন থাকবে। বিশ্বব্যাপী খাদ্য মন্দা চলছে। উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশের মাটি অত্যন্ত উর্বর। আপনারা যে যা পারেন উৎপাদন করেন। কোনো জমিই যেন খালি না থাকে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।