সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরার পর আবারও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অতিরিক্ত স্ট্রেসের (মানসিক চাপ) কারণে মির্জা ফখরুল অসুস্থ বোধ করছেন। তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তবে এখনো তার শারীরিক কোনো জটিলতা পাওয়া যায়নি।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে নিজের চেম্বারে আসার কিছুক্ষণ পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ তিনি অসুস্থ বোধ করেন। এসময় তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। পরে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়।
দুপুরে ইউনাইটেড হাসপাতালে গিয়ে মির্জা ফখরুলের শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়ে বেরিয়ে আসার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডা. জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, গুলশান কার্যালয়ে এসে অসুস্থ বোধ করার পর তাকে দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে নেওয়া হয়। চিকিৎসক মমিনুজ্জামান তার ইসিজি ও রক্তসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। আপাতত তিনি পর্যবেক্ষণে আছেন। তবে পরীক্ষা নিরীক্ষায় এখন পর্যন্ত তার কোনো ধরনের জটিলতা পাওয়া যায়নি।
ডা. জাহিদ আরও বলেন, সব পরীক্ষার রিপোর্ট দেখার পর চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। উনার প্রচণ্ড স্ট্রেস গেছে। ভাবি (মির্জা ফখরুলের স্ত্রী) অসুস্থ, উনার ভাই গতকাল রাতে অ্যাক্সিডেন্ট করে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি। দলের আবার আজকে প্রোগ্রাম আছে। সবকিছু মিলিয়ে তিনি স্ট্রেসের মধ্যে ছিলেন। এ কারণে কাজ করতে করতে এক পর্যায়ে অসুস্থ বোধ করেন।
মির্জা ফখরুল শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে গত ১৫ জানুয়ারি এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। তখন তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন।
হাসপাতালে দুদিন থেকে বাসায় ফেরেন মির্জা ফখরুল। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১০ ফেব্রুয়ারি সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরে যান তিনি। সেখানে ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি হাসপাতালে (এনইউএইচ) চিকিৎসা নিয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুলের বর্তমান বয়স ৭৫ বছর। তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন। মহামারিকালে দুবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এ রাজনীতিক।