চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা নির্ধারিত তারিখে চার্জগঠন শুনানি হয়নি। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তৃতীয় চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে শুনানির কথা ছিল। এ দিন আসামি বাবুল আক্তারকে যথাসময়ের মধ্যে আদালতে হাজির করা হয়নি। এতে করে আগামী ১৩ মার্চ চার্জ গঠনের জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মওলা মুরাদ বলেন, বাবুল আক্তারকে আজকে (সোমবার) যথাসময়ে আদালতে হাজির করা হয়নি। তিনি পথে রয়েছেন। আদালত আগামী ১৩ মার্চ চার্জ গঠন শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন। ওইদিন আমরা বাবুল আক্তারকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানাব।
এর আগে ৩১ জানুয়ারি মামলাটি তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর হয়। ওইদিন আলোচিত এই মামলার আসামি এহতেশামুল হক ভোলা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
তবে মামলাটিতে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারেরই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। একই দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল।
এদিকে, প্রথম মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর নারাজির আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৩ নভেম্বর নারাজি ও পিবিআইয়ের প্রতিবেদন খারিজ করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। এরপর দুটি মামলাই তদন্ত করতে থাকে পিবিআই। তবে পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গত বছরের ২৫ জানুয়ারি মিতুর বাবার দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরপর একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলাটি অধিকতর তদন্ত শেষে বাবুলসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।