২০১৫ সালে ১৫ বছর বয়সে লন্ডন থেকে সিরিয়ায় গিয়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা বেগম তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন (আপিল) করেছিলেন। যুক্তরাজ্যের একটি আদালত তার এ আপিল খারিজ করে দিয়েছেন।
স্থানীয় সময় আজ বুধবার বিচারক রবার্ট জে শামীমার আপিল খারিজ করে দেন। শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করার সরকারি সিদ্ধান্ত বৈধ বলেও রায় দিয়েছেন আদালত। তবে শামীমা যুক্তরাজ্যে ফিরতে পারবেন কি না, এ সিদ্ধান্ত দেননি। এর আগে গত নভেম্বরে এ নিয়ে আদালতে পাঁচদিন শুনানি হয়েছিল। খবর এএফপির।
শামীমার আপিল আবেদন খারিজ করে যুক্তরাজ্যের স্পেশাল ইমিগ্রেশন আপিলস কমিশনের (এসআইএসি) বিচারক রবার্ট জে বলেছেন, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী, (শামীমার নাগরিকত্ব ফেরত দেওয়ার) এসব সংবেদনশীল বিষয় স্পেশাল ইমিগ্রেশন আপিলস কমিশন নয়; বরং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন একাডেমির ছাত্রী শামীমা বেগম ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার আরও দুই বান্ধবীসহ সিরিয়ায় যান। সিরিয়ায় যাওয়ার পরে শামীমা আইএসে যোগ দেন। এরপর তিনি ডেনমার্কের বংশোদ্ভূত এক ধর্মান্তরিত ‘জিহাদি’কে বিয়ে করেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আল-হওর শরণার্থীশিবিরে শামীমার দেখা পান এক ব্রিটিশ সাংবাদিক। তখন শামীমা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সাক্ষাৎকারে তিনি সন্তান জন্ম দিতে যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার আকুতি জানান।
২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেন। পরের মাসে শামীমা বেগমের নবজাতক সন্তানের মৃত্যু হয়। তখন তিনি সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে একটি শরণার্থীশিবিরে ছিলেন। এরপর আরও জানা যায়, শামীমা বেগম এর আগেও দুই সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। একাধিক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তার আগের দুই সন্তানেরও খুব কম বয়সেই মৃত্যু হয়।