র্যাগিংয়ের অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ওই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান।
তিনি বলেন, এ ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে এবং এবং ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সৈয়দ মুজতবা আলী হলে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী র্যাগ দেয়। এই সময় র্যাগিংয়ের শিকার হওয়া এক শিক্ষার্থী আজ বুধবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দেন। তবে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী।
পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদার, সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আবু সায়েদ আরফিন খান নোবেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট সহকারী অধ্যাপক মনিরুজ্জামান খান ও সহকারী প্রক্টর মিজানুর রহমান।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরেছি। চিঠি পাওয়ার পর পরবর্তী সময়ে তদন্ত করা হবে।
সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে র্যাগিং ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা চলছে দেশে। এ ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশেও চলছে তদন্ত কাজ। এর মধ্যেই নতুন করে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেল।