এশিয়ার বৃহত্তম বার হিসেবে পরিচিত ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে ২০২৩-২৪ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় দিনের মতো ভোটগ্রহণ চলছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ। মাঝে একঘণ্টার বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টায় শেষ হবে ভোট। এরপর শুরু হবে গণনা।
দুদিনব্যাপী এ ভোট বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় শুরু হয়, শেষ হয় বিকেল ৫টায়। ১৯ হাজার ৬১৮ জন ভোটারের মধ্যে প্রথম দিন ভোট দিয়েছেন ৫ হাজার ২৮ জন আইনজীবী।
তবে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ শেষে রাত ১০টার দিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন নীল প্যানেলের মনোনীত সভাপতি প্রার্থী খোরশেদ মিয়া আলম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম। এসময় তারা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনেন এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেন। ভোট বর্জন করে অন্যান্য ভোটারদের ভোটদান থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে বিএনপিপন্থি নীল প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, প্রথম দিনে ১৪টি কাউন্টারে ভোটগ্রহণ হয়েছে। যেখানে চার হাজার ২৩ ভোট। কিন্তু কিছুক্ষণ পর পাঁচ হাজার ২৮টি ভোট গ্রহণ হয়েছে বলে ঘোষণা দেয়। পরে কোন কাউন্টারে কত ভোট হয়েছে হিসাব নিয়ে দেখা গেছে চার হাজার ২৩ ভোট হয়েছে। প্রথম দিনে এক হাজার পাঁচ ভোট কারচুপি করেছে, কিছু অনিয়ম করেছে। এসব কারণে আমরা ভোট বর্জন করেছি।
এ নির্বাচনে ২৩টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন ৪৬ জন। বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের ২৩ জন ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের ২৩ জন।
এবার নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি নীল প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে মিজানুর রহমান মামুন, সাধারণ সম্পাদক পদে খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জুবায়ের, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে রুমানা জামান রীতু, সহ-সভাপতি পদে প্রাণ নাথ, ট্রেজারার পদে বিবি ফাতেমা মুন্নী, ফাহিম শরীফ সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. মাহবুব হোসেন জয়, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. রেজাউল হক রিপন, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে শিখা ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মো. গোলাম কিবরিয়া সুমন, দপ্তর সম্পাদক পদে এস এম মিজানুর রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. আবুল হাসনাত জিহাদ।
এছাড়া সদস্য পদে মো. কামাল হোসেন, গাজী ইমরুল, আসলাম হোসেন, ইয়াসিন জাহান ভূঁইয়া (নিশান), মো. তানজির হোসেন রবিন, অ্যাডভোকেট শারমিন সুলতানা টুম্পা, ইসমত আরা শারমিন (রীমু), মো. আশিকুল ইসলাম মুরাদ, সঞ্জয় কুমার কর্মকার, জহির উদ্দিন জহির ও নাছির উদ্দীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিএনপিপন্থি নীল প্যানেলের প্রার্থীরা ছিলেন- সভাপতি পদে খোরশেদ মিয়া আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আব্দুর রাজ্জাক, সহ-সভাপতি পদে মো. সহিদুজ্জামান, ট্রেজারার পদে আব্দুর রশীদ মোল্লা, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে জহিরুল হাসান, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সৈয়দ মো. মইনুল হোসেন, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে নার্গিস পারভীন মুক্তি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নূরজাহান বেগম, দপ্তর সম্পাদক পদে আনোয়ারুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মোবারক হোসেন ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে মাহবুব হাসান রানা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
এছাড়া সদস্য পদে আলী মর্তুজা, আনোয়ার হোসেন, মাহফুজুর রহমান ইলিয়াছ, সোহেল উদ্দিন রানা, ইয়াকুব আলী, মোহাম্মদ আরিফ, আলী বাবু, মুক্তা বেগম, মোজ্জাম্মেল হক, রেজাউল হক রিয়াজ ও রুবিনা আক্তার রুবা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
২০২২-২০২৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৭টি পদ এবং বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল লাইব্রেরি ও সমাজকল্যাণ সম্পাদকসহ ৬টি পদে নির্বাচিত হয়েছে।