“একুশ মানে অনেক কিছু, নিতে হবে আজ দীক্ষা; একুশ মানে দেশ বাচাঁনোর শপথ নেওয়ার শিক্ষা” একুশ একটি চেতনা, একটি বৈশ্বিক প্রতীক, একটি মহান বিপ্লব। আর সেই চেতনাকে ধারণ করে ২২ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজন করে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি দেয়ালিকা প্রকাশ করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ফারুক আহাম্মদ উল্লা খানের সভাপতিত্ব্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (গ্রেড-১) প্রফেসর ফাহিমা খাতুন।
সভার শুরুতেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ফিতা কেটে দেয়ালিকা উন্মোচন করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মহিউদ্দিন মাহিন, ফয়সাল চৌধুরী, বনলতা আক্তার, জামিলা আক্তার বন্যা, তানিবা সুলতানা নিদ্রা, সাদিয়া বেগম এবং রূপম রূপ এর সমন্বয়ে দেয়ালিকাটি তৈরি করা হয়।
দেয়ালিকাটির সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক মোঃ খাইরুল আলম।
আলোচনা অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে একুশের চেতনাভিত্তিক মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট লেখক এবং কবি মানবর্দ্ধন পাল।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মোঃ শাহ আলম, সিনিয়র প্রভাষক ইমতিয়াজ মাহমুদ রিফাত এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক মোঃ খাইরুল আলম।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ফ্যাকাল্টি মেম্বার, কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীগণ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ফাহিমা খাতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জীবনে এক অসীম তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা যা সার্বিক জাগরণের উৎসমুখও এবং একুশের চেতনা যেন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অনুপ্রেরণার সঞ্চারী হিসেবে সবসময় প্রতিটি শিক্ষার্থীর অন্তরে অনির্বাণ শিখা হয়ে জ্বলে উঠে সেই আহবান জানান।
পরিশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ৫২ এর ভাষা আন্দোলনভিত্তিক এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।