তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পে প্রাণহানি ৫০ হাজার ছাড়ালো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তুরস্কের কাহরামানমারাস শহর। ছবি সংগৃহীত
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে চলতি মাসের শুরুর দিকে আঘাত হানা ‘শতাব্দীর ভয়াবহতম’ ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। কেবল তুরস্কেই মারা গেছেন ৪৪ হাজারের বেশি, সিরিয়ায় প্রাণহানি হয়েছে প্রায় ছয় হাজার। খবর আল-জাজিরার।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ এক ভূমিকম্প। এর কয়েক ঘণ্টা পরে ফের ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ‍ভূকম্পন অনুভূত হয় ওই অঞ্চলে। এতে পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় তুরস্কের দক্ষিণ এবং সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল।

গত কয়েকদিনে তুরস্ক-সিরিয়া কোনো দেশ থেকেই কাউকে জীবিত উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। গৃহহীন হয়েছেন ২০ লাখেরও বেশি মানুষ।

তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (আফাদ) জানিয়েছে, শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত দেশটিতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ২১৮ জনে। আর সিরিয়ার সরকার ও উদ্ধারকারী সংগঠনগুলোর তথ্য বলছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে ভূমিকম্পের আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ হাজার ৯১৪ জন।

সংস্থাটির তথ্য বলছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সাত মাত্রার ওপরে ভয়াবহ দুটি ভূমিকম্পের পর থেকে তুরস্কের দক্ষিণপূর্ব এবং সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে এ পর্যন্ত নয় হাজারের বেশি আফটারশক অনুভূত হয়েছে।

তুরস্কের ১টি ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত প্রদেশে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকসহ প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার উদ্ধারকর্মী। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় প্রাথমিকভাবে প্রবেশ করা কঠিন ছিল। কিন্তু উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং এর অগ্রগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।

তবে গত কয়েকদিনে তুরস্ক-সিরিয়া কোনো দেশ থেকেই কাউকে জীবিত উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি।

কেবল তুরস্কের দুর্যোগকবলিত এলাকাগুলো থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রায় ৫ লাখ ৩০ হাজার মানুষকে। তুর্কি সরকার বলছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে অন্তত ১ লাখ ৭৩ হাজার ভবন ধসে পড়েছে বা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলোতে বসবাসকারী ১৯ লাখের বেশি মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র, হোটেল এবং সরকারি বিভিন্ন ভবনে আশ্রয় নিয়েছে।

শেয়ার করুন