মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার পেলেন মোকতাদির চৌধুরী এমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার-২০২৩ (Mahatma Ghandhi International peace Award-2023) পদকে ভূষিত হয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়) বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং মত ও পথ সম্পাদক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

২৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বিকেল ৩টায় পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত রবীন্দ্র ভবন মিলনায়তনে ‘আমার আশা ফাউন্ডেশন ও ভারত-বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিল’ আয়োজিত ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসব-২০২৩, কৃতি ছাত্র-ছাত্রী সংবর্ধনা ও দুই বাংলার গুণীজন সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে তাঁকে এই পদকে ভূষিত করা হয়।

universel cardiac hospital
র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির পক্ষে মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার-২০২৩ গ্রহণ করছেন তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু মুছা আনছারী।

সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির পক্ষে এই পদক গ্রহণ করেন তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু মুছা আনছারী।

অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত ‘পুবের কলম’ পত্রিকার সম্পাদক তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সংসদ সদস্য আহমদ হাসান ইমরান বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের সাহিত্য-সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেলবন্ধনের জন্য বেশি করে ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে মৈত্রী উৎসব হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, সাংসদ থাকাকালীন আমি দেখেছি, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা বরাবরই ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের সার্বিক বিকাশের জন্য সচেষ্ট থেকেছেন।

ইমরান জোর দিয়ে বলেন, আমাদের দুই দেশকেও ইউরোপীয় ইউনিউনের মডেল অনুসরণ করতে হবে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ নিজেদের মধ্যে ভিসা ব্যবস্থা তুলে দিয়েছে কিংবা সহজ করেছে। ব্যাবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, মেলবন্ধন সবক্ষেত্রে তারা বাস্তব ক্ষেত্রে ফেডারেল রাষ্ট্রের মতো কাজ করছে। আমাদেরও বাণিজ্য ক্ষেত্রে শুল্ক কমিয়ে আনতে হবে। সংস্কৃতি বিনিময় বাড়াতে হবে।

আহমদ হাসান বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের উন্নয়নে, সংস্কৃতি ও মেলবন্ধনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি, শিল্পী, ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদরা এখানে এসেছেন। এটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের। তাঁদেরকে আমরা স্বাগত জানাই। আর এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই সেই যোগাযোগ তৈরি হয়। সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন ঘটে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন, সংস্কৃতি উন্নয়নের ক্ষেত্রে আপনারা ভূমিকা রাখছেন।

ভাষা শহিদদদের স্মরণ করে তিনি আরও বলেন, এখন ফেব্রুয়ারি মাস চলছে। এই মাসে ভাষা শহীদরা প্রাণ দিয়েছিলেন। ভাষার জন্য প্রাণ কুরবানি দেওয়ার নজির পৃথিবীর খুব কম দেশেই রয়েছে। আর বাংলাদেশের জন্যই রাষ্ট্রসংঘ ১৯৯৯ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এজন্য বাংলাদেশের অভিনন্দন প্রাপ্য।

এদিন বাংলাদেশ থেকে অনুষ্ঠান মঞ্চ আলোকিত করেছিলেন, রাজশাহী মুনডুমালা পৌরসভার মেয়র মুহাম্মদ সাইদুর রহমান, কুমিল্লার লাঙ্গলকোট পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসবের সহ-সভাপতি মনজুর হোসেন ইশা, এটিএন বাংলা লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজুর রহমান, বিশিষ্ট শিল্পপতি আজিজুল ইসলাম, রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার উপাচার্য সুভাষচন্দ্র শীল, ঢাকার বাংলাদেশ ইসলামি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. আমিনুল হক ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু মুছা আনছারী প্রমুখ।

ভারত-বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিলের সভাপতি শুভ দ্বীপ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে মঞ্চে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সংসদ সদস্য আহমেদ হাসান ইমরান, বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মঞ্চের সভাপতি অধ্যাপক ওয়ায়েজুল হক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আবু সিদ্দিক খান, ইমাম-মুয়াজ্জিন সমিতির রাজ্য সম্পাদক হাফেজ আজিজউদ্দিন, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসবের সদস্য ও আমার আশা ফাউন্ডেশন-এর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মোল্লা, ভারত-বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিলের কর্মকর্তা আর কে রিপন প্রমুখ।

বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মঞ্চের সভাপতি অধ্যাপক ওয়ায়েজুল হক বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছি। একে অপরকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। এটা আমাদের ভাতৃত্বের বন্ধন। ঐক্যবদ্ধ হয়েই আমরা ভারত-বাংলাদেশ কাজ করি। কিন্তু বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে মৈত্রী ভালবাসা আছে কিছু অশুভ শক্তি সেই ভালোবাসাকে নষ্ট করার চক্রান্ত করছে। তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিবর্গকে উষ্ণ ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, প্রসেনজিৎ রাহা ও মনজুর হোসেন ইশা।

শেয়ার করুন