শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যানকে যে ‘দুই কারণে’ গুলি

নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানকে বাড়িতে ঢুকে গুলি করার পেছনে দুটি বিষয়কে গুরুত্বপূর্ণ ভাবছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। এর একটি- দলীয় কোন্দলে দ্বিধাবিভক্ত স্থানীয় রাজনীতির একপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হারুনুরকে সরিয়ে দিতে অন্য পক্ষ এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আরেকটি হলো- জেলার সবচেয়ে বড় গরুর হাট পুটিয়া বাজারের ইজারা পাওয়াকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব। দুটি বিষয় পরস্পর সম্পর্কিত বলে ধারণা করছেন নেতাকর্মীরা।

গতকাল শনিবার সকাল সোয়া ছয়টার দিকে শিবপুর পৌর এলাকার বাজার সড়কে নিজের বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন হারুনুর রশিদ খান। বর্তমানে তিনি রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। গতকাল এই হাসপাতালে নেওয়া হলে তার পিঠে বিদ্ধ দুটি গুলি বের করা হয়। এখন তিনি ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে আছেন।

universel cardiac hospital

হারুনুর রশিদ খান শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিবপুর থানার ১০০ গজের ভেতরে বাজার এলাকায় হারুনের পাঁচ তলা বাড়ি। বাড়িটির নিচ তলায় দোকানপাট, দ্বিতীয় তলায় বেসরকারি একটি ব্যাংকের শাখা ও তৃতীয় তলায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকেন তিনি। তাকে গুলি করার সময় বাড়িতে ছিলেন তার স্ত্রী বেবি খানম, ছেলে আমিনুর রশিদ খান, বোন মরিয়ম খানম ও তার স্বামী শাজাহান খান।

হারুনুর রশিদ খানের পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, প্রতিদিনই ভোর থেকে রাত পর্যন্ত অনেক মানুষ হারুনের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। গতকাল সকালে বাইরে হাঁটতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। এর মধ্যে একজন তার মুঠোফোনে তিন থেকে চারবার কল দেন, দেখা করতে চান। আসতে বলা হলে তিনজন ব্যক্তি বাড়িটির তৃতীয় তলায় এসে কলবেল চাপেন। তিনি নিজেই দরজা খুলে দেন, তাদের ভেতরে এসে বসতে বলেন।

তারা তিনজনই সোফায় এসে বসার পর আপ্যায়নের জন্য তিনি নিজে পেয়ারা কেটে আনেন। তাদের সামনে পেয়ারা রাখার পরপরই একজন তার দিকে পিস্তল তাক করেন। এ সময় ঘুরে নিরাপদ স্থানে যেতে উদ্যত হলে পরপর দুটি গুলি তার পিঠে লাগে।

শেয়ার করুন