বর্বরতার সাক্ষ্য শহীদ রফিকের ছবি

পুলিশের গুলিতে মাথার খুলি উড়ে যাওয়া শহীদ রফিকউদ্দিনের মরদেহ। ছবি: আমানুল হক

মত ও পথ : ভাষা আন্দোলন সংখ্যা (২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)

সুদীপ্ত সালাম

প্রথম দেখায় ছবিটির ‘সংবাদমূল্য’ খুঁজে পাওয়া কঠিন। একবার দেখলে মনে হবে একটি সাদাকালো বিমূর্ত চিত্রকর্ম। আসলে এটি ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ রফিকউদ্দিন আহমেদের ছবি। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও গবেষক মফিদুল হকের ভাষায় যা ছিল পাকিস্তান সরকারের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ‘বর্বরতার সাক্ষ্য’। জীবনে কত না ছবি তুলেছেন আমানুল হক! কবি নজরুল, সত্যজিৎ, জয়নুল, বঙ্গবন্ধু, ভাষা-আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ, বিজয়, আবহমান বাংলা…। এসব কিছুকে ছাপিয়ে সবচেয়ে জ্বলজ্বলে তাঁর রফিকের ছবিটি।

ছবিটি অনেকটা চোখের আড়ালে থেকে গেছে। এ প্রজন্মের অনেকেই ছবিটি দেখার সুযোগ পাননি। অনেকে জানেনও না এমন একটি ঐতিহাসিক ছবির অস্তিত্ব সম্পর্কে। গুগলে খুঁজলে ছবিটির দু-একটি দুর্বল প্রতিলিপি পাওয়া যায়। সঙ্গে জুটবে বিভ্রান্তিকর তথ্য। মূল ছবিটি পাওয়া যাবে আমানুল হকের ‘ক্যামেরায় স্বদেশের মুখ’ নামের বিশাল আয়তনের ফটোবুকে। ‘সাহিত্য প্রকাশ’ প্রকাশিত সেই ঢাউস বইয়ে পুরো একপাতা জুড়ে ছাপা হয়েছে। ১৯৫২ সনের ২১ ফেব্রæয়ারি পুলিশের গুলিতে রফিকের মাথার খুলির একাংশ উড়ে গিয়েছিল। এটি শহীদ রফিকের ভাঙা খুলির ছবি অথবা বলা যায় শহীদ রফিকের পোরট্রেট।

পঞ্চাশের দশকে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে পত্রিকা ছিল হাতেগোনা। বদরুদ্দীন উমর তার ‘পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি’ গ্রন্থে বলেছেন, ১৯৪৮ সনের রাজনৈতিক উত্তেজনার সময়েও ঢাকা থেকে কোনো দৈনিক প্রকাশিত হতো না। অন্যদিকে ক্যামেরা ও আলোকচিত্রীর সংখ্যাও ছিল সীমিত। প্রধানত এই কারণেই ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের আলোকচিত্রের তুলনায় ভাষা-আন্দোলনের ছবি হাতেগোনা। ১৯৫২ সনে সক্রিয় পত্রিকাগুলোর মধ্যে ছিল দৈনিক আজাদ, সাপ্তাহিক সৈনিক, সাপ্তাহিক ইত্তেফাক (১৯৫৩ সনে দৈনিক হয়), সাপ্তাহিক ইনসাফ, সাপ্তাহিক ঢাকাপ্রকাশ, ডেইলি মর্নিং নিউজ, দৈনিক সংবাদ ইত্যাদি। কয়েকটি বের হতো কলকাতা থেকে। আর প্রভাবশালী পত্রিকা ছিল দু-একটি। এর মধ্যে নবাব পরিবারের সদস্য খাজা নাজিমুদ্দিনের মর্নিং নিউজ ও নূরুল আমীনের সংবাদ ছিল ভাষা-আন্দোলনের বিরুদ্ধে। হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ (১৯৫৩)-গ্রন্থ থেকে জানা যায়, ভাষা আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় ২২ ফেব্রুয়ারি (১৯৫২) মর্নিং নিউজ-এর সদরঘাট কার্যালয় পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। দৈনিক সংবাদ-এর কার্যালয়েও আগুন দেওয়ার চেষ্টা হয়। একুশে ফেব্রুয়ারির আগেই পূর্ব-পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমীন পাকিস্তান অবজারভার-এর প্রকাশ নিষিদ্ধ ঘোষণা (১৩ ফেব্রুয়ারি)) করেন। বশীর আলহেলাল ‘ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাস’ গ্রন্থে বলেছেন, ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিছিলের গুলি চালানো ও হতাহতের ঘটনা নিয়ে দৈনিক আজাদ একটি বিশেষ সংখ্যা বের করেছিল। সংখ্যাটি সরকার বাজেয়াপ্ত করে বলে একটি ‘ধারণা প্রচলিত রয়েছে’।

এমন পরিস্থিতিতেও ছবি তোলা হয়েছে। আমানুল হক তুলেছেন, নজরুল গবেষক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম তুলেছেন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে ভাষাসংগ্রামী তকীউল্লাহ তুলেছেন…। অনেক ছবির ভিড়ে আমানুল হকের শহীদ রফিকের ছবিটি উজ্জ্বলতম। অনেক ছবির মতো এই ছবিটিও সেসময় পত্রিকায় ছাপা হয়নি। মনে হতে পারে, ‘বীভৎস’ ছবি বলেই হয়তো ছাপেনি। এমনটি নয়। তখন এধরনের ছবি পত্রিকায় ছাপানো মামুলি ঘটনা ছিল। এখন যেমন লাশের ছবিও ছাপা হয় না, সেসময় অহরহ লাশের ছবি ছাপা হতো। সম্ভবত ছবিটি ছাপিয়ে কেউ পাকিস্তান সরকারের রোষানলে পড়তে চায়নি। তখন বাকস্বাধীনতার কি দুরাবস্থা ছিল তার কিছু নমুনা আমরা আগে তুলে ধরেছি।

কিন্তু তবুও আমানুল হকের ছবিটির প্রচার থেমে থাকেনি। ২০১১ সালে দৈনিক প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমানুল হক জানিয়েছেন, ‘ছবিটি সেদিনই দৈনিক আজাদ-এ পাঠানো হয়েছিল। ছবির ব্লকও এসেছিল। কিন্তু রাত প্রায় দুটোর দিকে কর্তৃপক্ষের আপত্তিতে ছবিটা আর ছাপা যায়নি। তবে আরেকটা ব্লক বানিয়ে ছাত্রদের কাছে পৌঁছানো হয়েছিল। ছাত্ররা একটা প্রচারপত্র লিখে তাতে ছবিটি ছেপেছিল। পুলিশ পরে এগুলো সিজ করে।’ নিজের ‘স্মৃতিচিত্র : আলখ্যে ও আলোকচিত্র’ গ্রন্থে আমানুল হক আরও জানিয়েছেন, সত্যজিৎ রায়ের প্রধান সহকারী নিতাই দত্ত তাঁকে জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের সময় মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে শহীদ রফিকের সেই ছবি পোস্টারে ব্যবহার করেছিল যুক্তফ্রন্ট।

কিভাবে তোলা হলো এই ঐতিহাসিক ছবি? প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আমানুল হক বলছেন, ‘আমি তখন আর্টিস্ট ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করতাম।…অনেকে মনে করেন, ছবিটি বক্স ক্যামেরা দিয়ে তোলা হয়েছিল। আসলে তা নয়। মিলিটারি-পুলিশ তখন লাশগুলো গুম করে ফেলছিল। রফিকের লাশের সন্ধান আমাকে দিয়েছিলেন কাজী মোহাম্মদ ইদিরস (পূর্ব-বাংলা প্রচার দপ্তরের সেসময়ের সহকারী পরিচালক ও সাংবাদিক)। আমি ফুলহাতা হাওয়াই শার্ট পরেছিলাম। ক্যামেরাটা শার্টের নিচে লুকানো। রফিকের গুলিবিদ্ধ, খুলি উড়ে যাওয়া লাশটা মেডিকেল কলেজের পেছন দিকে একটা প্রায় অন্ধকার ঘরের মধ্যে পড়ে ছিল। আমি একা গিয়ে খুব সন্তর্পণে ছবিটা তুলেছিলাম। আমানুল হক ‘স্মৃতিচিত্র : আলখ্যে ও আলোকচিত্র’ গ্রন্থেও বিস্তারিতভাবে ছবি তোলার ঘটনাটি বলেছেন।

ভাষা সংগ্রামী ও গবেষক রফিকুল ইসলামও সেদিনের স্মৃতিচারণ করেছেন, ‘…এই লাশটা ছিল রফিকউদ্দিন আহমেদের। ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ। তার বাড়ি মানিকগঞ্জে। ওরা এই লাশটাকে ইমারজেন্সিতে না নিয়ে পাশে একটা গুদাম ঘরের মতো ছিল, সেখানে নিয়ে লাশটা লুকিয়ে রেখেছে। ওখান থেকে তারা লাশটা সরিয়ে ফেলবে। তো আমানুল হক সাহেবকে আমি বললাম যে, ওনার ডাক নাম মতি ভাই। বললাম যে, মতি ভাই আমার তো ফিল্ম শেষ, আপনি যান, তুলেন। উনি গিয়ে ঐ রফিকউদ্দিনের মাথার খুলির একটা ছবি তুলতে পারলেন, অন্ধকারের মধ্যে কোন রকম। ঐ রফিকউদ্দিন আহমেদ অর্থাৎ ভাষা আন্দোলনের প্রথম যে শহীদ সেই ছবিটা সৌভাগ্যক্রমে আমানুল হক সাহেব তুলতে পারলেন। কিন্তু আমি তুলতে পারলাম না।’ (‘ভাষা সংগ্রামীর বাংলাদেশ’ – তারিকুল ইসলাম মাসুম)

বশীর আলহেলাল রচিত ‘ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাস’-গ্রন্থ থেকে জানা যায়, শহীদ রফিকের বয়স ছিল ১৯-২০ বছর। তিনি মানিকগঞ্জের দেবেন্দ্র কলেজের আই. কম দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। সিঙ্গাইর থানার পরিমল গ্রামের মো. আবদুল লতিফের বড় ছেলে রফিক। শহীদ রফিককে ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছিল। কিন্তু কবরটি সংরক্ষণ করা হয়নি বলে সেখানে নতুন কবর হয়। দৈনিক কালের কণ্ঠ ২০২০ সালে একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কবরটি ৬৮ বছরেও চিহ্নিত করা হয়নি।

শহীদ রফিকউদ্দিন আহমদের এই যে পরিচয় তা নিয়ে সেসময় বিতর্ক উঠেছিল। স্বাভাবিকভাবেই আমানুল হকের ছবিটিও প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়। তাই এ প্রসঙ্গেও কিছু কথা বলা জরুরি। বিতর্কের সূত্রপাত ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আজাদ-এর খবর থেকে। পত্রিকাটি রফিকউদ্দিনকে ‘সালাহউদ্দিন’ বলে ভুল করে। খবরে বলা হয়, ‘একুশে ফেব্রæয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে বিকেল চারটায় পুলিশের গুলিবর্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ ক্লাসের ছাত্র মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন (২৬) ঘটনাস্থলে নিহত হন।’ আজাদকে তথ্যসূত্র করায় পরবর্তীতে অনেক লেখক, গবেষক ও প্রতিবেদকও একই ভুল করে বসেন। যদিও এই বিতর্কের সমাধান দ্রুত সময়ের মধ্যেই হয়ে যায়। ভাষাসংগ্রামী ও গবেষক আহমদ রফিক এই ভুলকে ‘মারাত্মক ভুল তথ্য’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তিনি তার ‘ভাষা-আন্দোলন : ইতিহাস ও উত্তরপ্রভাব’ গ্রন্থে বলছেন, ২১ ফেব্রুয়ারির দিন রাতেই রফিকউদ্দিনের ভগ্নিপতি মোবারক আলী খান রফিককে শনাক্ত করেন। পরে দৈনিক বাংলার সাংবাদিক আহমেদ নূরে আলম মোবারক আলী খানের একটি সাক্ষাৎকার নেন। সেখানেও মোবারক আলী বিস্তারিতভাবে বলেছেন। ভাষা সংগ্রামী ও গবেষক রফিকুল ইসলামের কথা আমরা আগেই শুনেছি।

দৈনিক আজাদ-এর ওই ভুল প্রতিবেদন সম্পর্কে আমানুল হক ‘স্মৃতিচিত্র : আলখ্যে ও আলোকচিত্র’ গ্রন্থে বলছেন, ‘…দুঃখজনক বিষয়টি হলো, দৈনিক আজাদ-এ প্রথম দিনের সেই রিপোর্টটিতেও ছিল গুরুতর তথ্য বিকৃতি।’ অন্যদিকে বশীর আলহেলাল স্পষ্ট করেছেন, “ট্রেচারের উপর মাথার খুলি উড়ে যাওয়া এক শহীদের লাশের ছবি আমরা কোথাও কোথাও মুদ্রিত দেখি। এই ছবিটি ১৯৫৭ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারির সাপ্তাহিক ‘নতুন দিন’ও ‘দৈনিক ইত্তেফাক’র সৌজন্যে মুদ্রিত হয়েছে এবং বলা হয়েছে ছবিটি রফিকের। অতএব মাথার খুলি যে রফিকউদ্দিনের উড়ে গিয়েছিল, সালাহুদ্দীনের নয়, এ-কথাই ঠিক।” (ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাস)

আরেকটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই। বশীর আলহেলাল যে ছবির কথা বলছেন, সে ছবি আর আমানুল হকের ছবি এক নয়। তিনি যে ছবিটির কথা বলছেন, তা সম্ভবত প্রথম ইত্তেফাক-এ ছাপা হয়। কবে ছাপা হয় জানা যায়নি। ইত্তেফাক-এর সৌজন্যে ছবিটি ১৯৫৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছাপে সাপ্তাহিক নতুন দিন। ছবিটি অস্পষ্ট, যেন হাতে আঁকা এবং ভিন্ন অ্যাঙ্গেলে তোলা। ছবিটির একটি অস্পষ্ট কপি ‘ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাস’ গ্রন্থে আছে। সাপ্তাহিক নতুন দিন থেকে ফটোকপি করা। এটি কার তোলা সে সম্পর্কে জানা যায়নি। আবদুল মতিন ও আহমদ রফিক সম্পাদিত ‘ভাষা আন্দোলন : ইতিহাস ও তাৎপর্য’ গ্রন্থেও শহীদ রফিকের একটি দ্বিতীয় ছবির উল্লেখ আছে। এই বইয়ে সেসময়ে মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হুমায়ুন কবির আবদুল হাইয়ের ভাষ্য লিপিবদ্ধ আছে। তিনি জানিয়েছেন, “বিকেল তিনটার দিকে হোস্টেলের গেটের কাছে একজনকে গুলিবিদ্ধ হতে দেখেছি। আর গুলিতে মাথার খুলি উড়ে যাওয়া একজন শহীদের লাশ আমরা প্রথমে ইমারজেন্সিতে, পরে এনাটমি হলের পেছনের বারান্দায় নিয়ে আসি। তাঁর একটা ফটো নেওয়া হয় (কে নেয় তা উল্লেখ করেননি) এবং সে ফটোর কপি আমার কাছে ছিল। পরবর্তীকালে তা ‘ইত্তেফাক’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। অধুনা প্রখ্যাত আলোকচিত্রশিল্পী আমানুল হকও তুলেছিলেন রফিকের লাশের ছবি।’

‘ভাষা-আন্দোলন : ইতিহাস ও উত্তরপ্রভাব’ গ্রন্থে আহমদ রফিকও বলেছেন, তার কাছেও সেই দ্বিতীয় ছবির কপি ছিল। হুমায়ুন কবির আবদুল হাই জানিয়েছেন, ছবিটি ইত্তেফাক-এ ছাপা হয়েছিল। বশীর আলহেলালও বলেছেন সাপ্তাহিক নতুন দিন ছবিটি ইত্তেফাক-এর সৌজন্যে ছেপেছিল। বুঝাই যাচ্ছে, হুমায়ুন কবির আবদুল হাই, আহমদ রফিক ও বশীর আলহেলাল শহীদ রফিকের যে ছবিটির কথা বলছেন, সেটি আমানুল হকের ছবি থেকে ভিন্ন।

সেই দ্বিতীয় ছবির মূল কপি পাওয়ার আর সুযোগ আছে কিনা সন্দেহ। আমাদের কাছে আছে শুধুমাত্র আমানুল হকের ছবিটি। যা এখন পর্যন্ত টিকে থাকা শহীদ রফিকউদ্দিনের (মরদেহের) একমাত্র ছবি। এই ছবি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় কতটা রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার। এই ছবির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু দুঃখজনক, ছবিটি লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে যাচ্ছে। এর কারণ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক জাদুঘর ও ছবির অ্যালবামের তুলনায় ভাষা-আন্দোলন নিয়ে উদ্যোগ অত্যন্ত কম।

সুদীপ্ত সালাম: লেখক ও দৃশ্যগল্পকার

শেয়ার করুন