ঢাকার রাস্তায় রাতে এক নারী চিকিৎসককে প্রাইভেট কারে তুলে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলেও ওই নারী অভিযোগ করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর লালবাগ বেড়িবাঁধ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নাজমুল ও হাসান নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে ওই নারী চিকিৎসক নিজেকে রাজধানীর শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, পূর্বপরিচিত ব্যক্তিরা হামলা চালিয়ে তার গাল, কপাল, গলা ও বাঁ হাতের বাহুতে জখম করেন। তিনি বাহুতে জখমস্থলে সেলাই করার স্থানটিও দেখান।
ভিডিওতে নারী চিকিৎসক বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি হাসপাতালে দায়িত্ব পালন শেষে রিকশায় তার লালবাগের বাসায় ফিরছিলেন। সঙ্গে তার ছোট ভাইও ছিলেন। এ সময় একটি প্রাইভেট কার এসে তার রিকশার গতি রোধ করে। নাজমুল ও আকাশ নামের দুজন গাড়ি থেকে নেমে তাকে রিকশা থেকে টেনে নামান। তখন গাড়ির ভেতরে ছিলেন হাসান ও মশিউর। তারা সবাই তার পূর্বপরিচিত।
ওই নারী বলেন, আমি রাস্তায় কথা বলতে না চাইলে তারা আমাকে জোরপূর্বক টেনে গাড়ির ভেতরে নিয়ে মাঝখানে (পেছনের আসন) বসান। এ সময় আমার ছোট ভাইকে রিকশা থেকে লাথি মেরে ফেলে দেন তারা। আমি চিৎকার দিয়েছিলাম। কিন্তু আশপাশে কেউ ছিল না।
ওই নারী চিকিৎসককে ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, মূলত আমার ওপর ওদের জেলাসি ছিল। কারণ, আমি আমার কাজিনের ব্যবসা দেখাশোনা করতাম। হাসান ওই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ছিল। একজন ড্রাইভারের একের পর এক চুরির ঘটনা আমি ধরিয়ে দিই। এসব ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একের পর এক চুরির মামলা হয়েছিল। আমি ওই মামলার সাক্ষী ছিলাম।
বুধবার রাতে ওই নারীর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, এখন খুব অসুস্থ। পরে কথা বলবেন। র্যাব-১০ কথা বলতে নিষেধ করেছে বলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।