মিয়ানমারের সামরিক শাসকেরা এখন দেশের বেসামরিক নাগরিকদেরই তাদের শত্রু হিসেবে দেখছেন। নিজ দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধেই জান্তা যুদ্ধে লিপ্ত। জনগণের বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদার প্রতি তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। সামরিক শাসনের দুই বছরের পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গত শুক্রবার জাতিসংঘ এসব কথা বলেছে। খবর এএফপির।
অং সান সু চির সামরিক সরকারকে উৎখাত করে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে গত দুই বছরের পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ বিপর্যয়’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার টার্ক। তিনি আরও বলেন, ‘সম্পূর্ণ দায়মুক্তি’ নিয়ে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে সামরিক বাহিনী।
প্রতিবেদনে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বলেছে, এই দুই বছরে কমপক্ষে ২ হাজার ৯৪০ জন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের ৩০ শতাংশই আটক অবস্থায় নিহত হয়েছেন। অবশ্য নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের মিয়ানমার টিমের প্রধান জেমস রোডেহাভের বলেন, বর্তমানে প্রায় ১৩টি পৃথক ফ্রন্টে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী। জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এর ফলে নির্দিষ্ট এলাকায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ক্রমেই কমছে। এ জন্য স্থলবাহিনীকে সুবিধা করে দিতে ক্রমেই বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে সামরিক বাহিনী। গত বছর তিন শতাধিক বিমান হামলা চালানো হয়েছিল।