পঞ্চগড়ে আহমদিয়া মুসলিম জামাতের সালনা জলসা ঘিরে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, হামলাকারীদের বেশিরভাগই ছিল বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক। সোমবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, পঞ্চগড়ে যারা জলসাতে হামলা চালিয়েছে, তারা কারা সেটা তো পুলিশের খাতায় আছে। এদের বেশিরভাগই ছিল বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক। তারাই সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, হামলা চালিয়েছে। সেই হামলায় দু-জন মৃত্যুবরণ করেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে নানাভাবে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারার চেষ্টায় আছে বিএনপি ও তার মিত্ররা। পঞ্চগড়ের এ ঘটনাও বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। সাম্প্রদায়িক উগ্রগোষ্ঠীকে নিয়ে বিএনপি যে রাজনীতি করে, তারা আরও নানা ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে।
‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব নিজেদের দায়টা এড়ানোর জন্য দু-দিন পর গতকাল এ বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন। আসলে এ ঘটনার জন্য তাদের সমর্থকরা, বিএনপি-জামায়াতের সমর্থকরা মূলত দায়ী।’
বিএনপি নেতারা দাবি করছেন, সরকারের ব্যর্থতায় সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিস্ফোরণ, চট্টগ্রামে অক্সিজেন কারখানা ও রোহিঙ্গা ক্যাস্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে- এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে আমাদের সরকার। তাদের চিকিৎসা, খাদ্য, শিক্ষা সবকিছুর ব্যবস্থা করেছে সরকার। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘটনাটি তদন্তনাধীন, এটি নাশকতা কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটি সার্বিকভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টার অংশ কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সায়েন্সল্যাব ও সীতাকুণ্ডের ঘটনা, এগুলো দুর্ঘটনা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বক্তব্যে মনে হচ্ছে কারও চুলায় আগুন লাগলেও ক-দিন পর বলবেন উনি এটার জন্য সরকার দায়ী। বিষয়টা তো তা নয়। এগুলো দুর্ঘটনা, তবে এ দুর্ঘটনা অবশ্যই অনভিপ্রেত, দুঃখজনক, এ দুর্ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বদ্ধপরিকর।’