রাজধানী ঢাকার সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ। এতে অজ্ঞাতনামা ৫০০ থেকে ৬০০ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থী নামধারী দুস্কৃতকারীকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হোসাইন মোহাম্মদ আরাফাত বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম মামলাটি এজহার হিসেবে নিয়ে ১২ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন। নিউমার্কেট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ সাফায়েত গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিউমার্কেট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ সাফায়েত জানান, মামলায় দণ্ডবিধির ১৪৩/১৪৭/১৮৬/৩৪১/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৪২৭/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এতে ৫০০-৬০০ জন ছাত্র ও ছাত্র নামধারী দুষ্কৃতকারীদের আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে জিআরও শরীফ শাফায়েত জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৫ মার্চ সায়েন্সল্যাব এলাকায় দুই কলেজের কিছু ছাত্র মুখোমুখি অবস্থান নেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সেখান থেকে চলে যেতে অনুরোধ করে। তারা পুলিশের কথা না মেনে একে-অন্যকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। রাস্তায় থাকা যানবাহনে ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে নামধারী ছাত্ররা ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে।
এতে আরও বলা হয়, তারা সায়েন্সল্যাব মোড়ের পশ্চিম পাশের পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালান। এতে এক লাখ টাকার ক্ষতি হয়। তাদের ছোড়া ইট-পাটকেল ও লাঠিসোঁটার আঘাতে ছালেহীন ও এমরান নামে দুজন কনস্টেবল আহত হন। পরে তাদের হামলায় আরও সাতজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ৫ মার্চ দুপুরে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলে এ সংঘর্ষ। এতে অন্তত পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হন। এদিকে, সংঘর্ষের পর অনিবার্য কারণ দেখিয়ে ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত আগামী ৬ মার্চ কলেজের ক্লাসসমূহ স্থগিত থাকবে। এছাড়া শুভ দোলযাত্রা উপলক্ষে ৭ মার্চ এবং পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে ৮ মার্চও কলেজের সব ক্লাস স্থগিত থাকবে।’