উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন স্থানীয় দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রধান কনরাড সাংমা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিজেপির গোটা শীর্ষ নেতৃত্ব মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে মঙ্গলবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল। মেঘালয়ের ৬০ সদস্যের বিধানসভার মধ্যে মাত্র দুটি আসনে জিতেছে বিজেপি। তা সত্ত্বেও মঙ্গলবার যে ১২ মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ১ জন বিজেপির মন্ত্রী। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকার।
মেঘালয়ে ৬০ সদস্যের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৩১ আসন। এনপিপি পেয়েছে ২৬টি। এরপর প্রথমেই তাদের সমর্থন জানায় বিজেপি এবং তারপর একাধিক স্থানীয় দল যার মধ্যে রয়েছে ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি, যারা পেয়েছে ১১টি আসন। এ ছাড়া রয়েছে পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট এবং হিল স্টেট পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি, যারা দুটি করে আসন পেয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে এখন ৬০ আসনের বিধানসভায় ক্ষমতাসীন এনপিপি–বিজেপি জোটের শক্তি দাঁড়িয়েছে ৪৫।
বিজেপির মাত্র দুটি আসন নিয়ে মেঘালয়ের মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া প্রমাণ করে, ভারতের বহুদলীয় রাজনীতিতে সরকার গঠন করা আর জেতা-হারার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। বিজেপি এনপিপির বিরোধিতা করে নির্বাচনে লড়লেও, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মেঘালয়ে সরকার গড়ল। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেস বিজেপির চেয়ে বেশি আসন পেয়েও রইল সরকারের বাইরে। দুই দলই পাঁচটি করে আসন পেয়েছে।
ত্রিপুরার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য তার দাবি পেশ করেছেন বিজেপির নেতা মানিক সাহা। সোমবার সন্ধ্যায় ত্রিপুরার রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আচার্যর সঙ্গে দেখা করে সাহা তার দাবি পেশ করেন। বিজেপি ও তাদের শরিক উপজাতীয় দল ইন্ডিজিনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা (আইপিএফটি) একটি যৌথ বৈঠকে সাহাকে নির্বাচন করার পর, তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্যপাল তাকে ত্রিপুরার পরবর্তী ও দ্বাদশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান। আগামীকাল মানিক সাহা এবং তার মন্ত্রিসভা শপথ নেবে।