রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার ইতিবাচক না: আল জাজিরাকে প্রধানমন্ত্রী

মত ও পথ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমারে নিপীড়ন, হত্যা ও ধর্ষণের শিকার রোহিঙ্গাদের মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ আলোচনা শুরু করলেও এই বিষয়ে মিয়ানমার ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন।

কাতার সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষৎকারটি নিয়েছেন আল জাজিরার সাংবাদিক নিক ক্লার্ক। সাক্ষাৎকারের একটি সংক্ষিপ্ত অংশ প্রচার করেছে সংবাদমাধ্যমটি। পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকারটি ১১ মার্চ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় আল জাজিরায় প্রচারিত হবে। সাক্ষাৎকারে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরের পরিস্থিতি এবং সেখানে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ কী তা নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

universel cardiac hospital

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড ও রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি উন্নয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন এই ঘটনার সূত্রপাত্র হয় তখন মানুষ নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অনেক কিছুই ঘটেছে। সত্যিকার অর্থে আমাদের খুব খারাপ লেগেছিল। এরপর আমরা সীমান্ত খুলে নেই। তাদের আসতে দেই। পাশাপাশি মানবিক দিক থেকে আমরা তাদের সবার জন্য আশ্রয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করি।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করি। আমরা তাদের বলি, রোহিঙ্গারা তোমাদের দেশের নাগরিক, তাদের ফিরিয়ে নেওয়া উচিত। দুর্ভাগ্যবশত, তারা ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না। আমি মনে করি এই মানুষদের তাদের নিজের বাড়ি ও দেশে ফিরে যাওয়া উচিত।

শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। কিন্তু এটি সত্যি খুব কঠিন। আমরা তাদের জন্য পৃথক একটি স্থানে আবাসনের ব্যবস্থা করেছি। ভাসানচর ভালো একটি জায়গা, বসবাসের ভালো স্থান। খুব ভালো জায়গা। ভালো আবাসন ও শিশুদের জন্য চমৎকার ব্যবস্থা করা রয়েছে।

রোহিঙ্গা শিবিরে জীবনযাত্রা এবং অগ্নিকাণ্ডে ১২ হাজারের বেশি মানুষের আশ্রয় হারানো প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরের পরিস্থিতি খুব ভালো না। রোহিঙ্গারা এখন নিজেরা একে অপরের সঙ্গে সংঘাতে জড়াচ্ছে। তারা মাদকপাচার, অস্ত্রপাচার, মানবপাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। এছাড়া তাদের নিজেদের মধ্যেও বিরোধ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু এই মুহূর্তে পরিস্থিতি অনেক কঠিন। কারণ বিশ্বের মনোযোগ এখন ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং দেশটির শরণার্থীদের ওপর।

শেয়ার করুন