আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সব সময় জনআকাঙ্ক্ষা ও জনমতকে ধারণ করেই রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে। জনকল্যাণকে সামনে রেখেই প্রণীত হয় বর্তমান সরকারের সব কর্মসূচি, পরিকল্পনা ও কর্মপন্থা। যার ফলে বিএনপি-জামায়াতের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর অর্থনীতি ও চরম অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশ বিশ্বসভায় উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে অভিহিত হয়েছে।
গত ১৪ বছরে অভাবনীয় অগগ্রতি সাধিত হয়েছে। সুতরাং সরকারকে পদত্যাগ বা তত্ত্বাবধায়কের অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক ও অযৌক্তিক দাবির হুঙ্কার দিয়ে কোনো লাভ নেই। কোনো অনির্বাচিত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সরকার গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শের পরিপন্থি। দেশে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন হবে। বাংলাদেশে জনগণের ভোটেই সরকার গঠন হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে ‘মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর’ দাবি করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশের গণমানুষের সংগঠন। মানুষের অধিকার আদায়ে চরম প্রতিকূল পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অপরিসীম ত্যাগ-তিতিক্ষা, অত্যাচার-নির্যাতন স্বীকার করে ও আত্মদানের মধ্য দিয়ে বহু ঝড়-ঝঞ্ঝা, বাধা-বিঘ্ন পেরিয়ে এগিয়ে চলা সংগঠন। শত-সহস্র বৈরী পরিবেশেও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো সংগঠনের নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো পলায়নপর রাজনীতি করেনি- করবেও না, বরং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দল বিএনপির তথাকথিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একুশে আগস্টের খুনি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান প্রায় দেড় দশক বিদেশে পলাতক রয়েছে। যারা দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামির নেতৃত্বে রাজনীতি করে তাদের মুখে অন্যদের নিয়ে পলায়নপর রাজনীতির আষাঢ়ে গল্প তামাশা ছাড়া কিছু নয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে জনগণের মধ্য থেকে উত্থিত রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করেছিল বলেই মির্জা ফখরুলরা আজ অপরাজনীতির সুযোগ পেয়েছে। বাক-স্বাধীনতার নামে লাগাতারভাবে মিথ্যাচার করার অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে যদি দেশ স্বাধীন না হতো, তাহলে তাদের এখনো পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর গোলামি করতে হতো। স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস করেও তারা পরাজিত পাকিস্তানের প্রতি এক ধরনের সংবেদনশীলতা অনুভব করে; পাকিস্তানের প্রতি তাদের ভাবাদর্শগত মোহ এখনো কাটেনি। আমরা স্পষ্টতই বলতে চাই, যাদের এখনো পাকিস্তানের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকতে পারে না।