ফরম্যাট বদলেছে, তবে প্রতিপক্ষ বিশ্বচ্যাম্পিয়নই। বরং ওয়ানডের তুলনায় টি-টোয়েন্টিতে আরও একধাপ এগিয়ে ইংল্যান্ড। অন্যদিকে বাংলাদেশ এ ফরম্যাটে এখনও পায়ের তলায় মাটি খুঁজছে! সবমিলিয়ে এই সিরিজে পরিষ্কার ফেভারিট ইংলিশরা। তারপরও ঘরের মাঠ বলে কথা! ওয়ানডেতে যেখানে শেষ করেছিল টাইগাররা সেখান থেকে শুরু করতে পারলে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ভালো কিছুর সম্ভাবনা আছে। আর এই ‘ভালো কিছুর’ পথের দিশারি হতে পারেন দলের তরুণ ক্রিকেটাররা।
সর্বশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেকে নতুনভাবে ছিনিয়েছেন তৌহিদ হৃদয়। এই টপ অর্ডার ব্যাটার আসরে ১৩ ম্যাচের ১২ ইনিংসে ব্যাটিং করে প্রায় ৩৭ গড়ে করেছেন ৪০৩ রান। যা টুর্নামেন্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ। আসরে তিনি ব্যাটিং করেছেন প্রায় ১৪০ স্ট্রাইকরেটে। সবচেয়ে বেশি ৫টি হাঁফ সেঞ্চুরিও ছিল তার নামের পাশে।
এমন পারফরম্যান্সের পর প্রত্যাশিতভাবেই ইংল্যান্ড সিরিজের দলে ডাক পান হৃদয়। ওয়ানডেতে স্কোয়াডে থাকলেও সুযোগ মেলেনি একাদশে। তবে আজ চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তিনি অভিষেক ক্যাপ পেতে যাচ্ছেন, এটা অনেকটাই নিশ্চিত। এমনকি ইংলিশদের বিপক্ষে সাকিবের ট্রাম্প কার্ড হতে পারেন এই ‘অচেনা হৃদয়’।
প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা বিশেষ হতে পারে বাংলাদেশের আরও একজন ক্রিকেটারের। তিনিও দলে ফিরেছেন সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে আলো ছড়িয়ে। প্রায় আট বছর পর জাতীয় দলে ফেরা রনি তালুকদারকে ওপেনিংয়ে লিটন দাসের সঙ্গী হিসেবে দেখা যেতে পারে।
লিটন-রনি ইনিংস ওপেন করলে তিন নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে দেখা যাবে নাজমুল হোসেন শান্তকে। সাম্প্রতিক সময়ে তার ব্যাটও কথা বলছে। চার নম্বরের জায়গাটা অভিজ্ঞ সাকিবের। পাঁচে তরুণ হৃদয়কে খেলানোর সম্ভাবনাই বেশি।
ছয় নম্বরে খেলবেন যথারীতি আফিফ হোসেন। যদিও সাম্প্রতিক সময়টা তার ভালো যাচ্ছে না, তারপরও এই ব্যাটারের ওপর আস্থা রাখছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সাত নম্বরে উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানের জায়গাটাও পাকাপোক্ত।
সাকিব থাকায় চারজন বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে বরাবরই একাদশ সাজায় বাংলাদেশ। এই ম্যাচেও একই পথে হাঁটবে টিম ম্যানেজমেন্ট। চার বোলারের মধ্যে মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গা মোটামুটি নিশ্চিত।
বাকি একজনের জায়গায় যদি একজন বাড়তি স্পিনার খেলায় তাহলে অভিষেক হতে পারে তানভীর ইসলামের। চট্টগ্রামের উইকেট আর প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা সবদিক বিবেচনায় তার খেলার সম্ভাবনাই বেশি। আর যদি তিন পেসার নিয়ে মাঠে নামতে চায় বাংলাদেশ, তাহলে তৃতীয় পেসার হবেন হাসান মাহমুদ।
বাংলাদেশ (সম্ভাব্য একাদশ)
রনি তালুকদার, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান (উইকেটরক্ষক), মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, তানভীর ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।