হামলার প্রতিবাদ ও নিজেদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে আফগানিস্তানের কাবুল, স্পেনের মাদ্রিদ, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন নারীরা। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে গতকাল বুধবার এ বিক্ষোভ হয়েছে। খবর এএফপির।
আফগানিস্তানে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার ওপর তালেবান সরকারের নিষেধাজ্ঞা, ইরানে হিজাব না পরায় মাসা আমিনির ওপর নিপীড়ন, যুক্তরাষ্ট্রের আইনে গর্ভপাতের অধিকারের ওপর নতুন বিধিনিষেধ, নারীদের ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব—এ রকম আরও বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ হয়েছে।
তালেবানের শাসনামলে আফগানিস্তানকে নারী অধিকারের ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দমনমূলক দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। এএফপির প্রতিবেদক কাবুলে ২০ জন নারীকে বিক্ষোভ করতে দেখেছেন।
পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার নারী বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়েছেন; যদিও পাকিস্তান সরকার তাদের অবরোধ করার চেষ্টা করেছে।
স্কুলশিক্ষক রাবায়েল আখতার লাহোরে দুই হাজার মানুষের ওই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, তিনি নারীদের নিরাপত্তার জন্য লড়াই করছেন। কারণ, তার দেশ ও সমাজে নারীদের নিরাপত্তা নেই।
থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়াতেও বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েক নারী গৃহকর্মীদের সুরক্ষার জন্য দীর্ঘপ্রতীক্ষিত বিল পাসের দাবিতে পার্লামেন্টের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় তারা ইন্দোনেশিয়ার নারীরা দীর্ঘজীবী হোক বলে স্লোগান দেন।
ইউক্রেনে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধের ময়দানে ভূমিকা রাখার জন্য নারীদের ধন্যবাদ জানান।
স্পেনের মাদ্রিদসহ বিভিন্ন দেশের রাজধানীতে নারীরা বিক্ষোভ করেছেন। জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস গত সোমবার সতর্ক করে বলেছেন, নারী অধিকার রক্ষায় বিশ্বের উন্নয়ন তাদের চোখের সামনে থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও নারীরা বিক্ষোভ করেছেন। ফ্রান্সের ১৫০টি শহরে কর্মক্ষেত্রে ও জীবনে সমতার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।