যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মাখামাখি নয়, আঞ্চলিক মিত্রদের বার্তা রাশিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সের্গেই ল্যাভরভ
ফাইল ছবি

প্রাক্তন সোভিয়েত রাজ্যগুলো যদি যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ট হওয়ার তৎপরতা চালায়, সেক্ষেত্রে সে তা বিপদ ডেকে আনবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। জর্জিয়ায় সাম্প্রতিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ল্যাভরভ।

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যে ১৫টি রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়, সেসবের মধ্যে জর্জিয়া অন্যতম। গত টানা ৩ দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে দেশটির রাজধানী তিবলিসিতে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে দেশের সংবিধান থেকে রাশিয়ার প্রতি সমর্থনসূচক ‘ফরেইনার্স এজেন্ট’ আইন বাতিল করতে হবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন ও বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের ক্ষেত্রে এই আইনটি সবচেয়ে বড় বাধা সাবেক সোভিয়েত রাজ্যগুলোর সামনে।

শুক্রবার মস্কোতে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের সঙ্গে বৈঠক করেন ল্যাভরভ। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে জর্জিয়া সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানকার অবস্থা হয়েছে ইউক্রেনের মতো। ২০১৪ সালে ইউক্রেনে এমন একটি আন্দোলনে সে সময়কার রুশপন্থী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল।’

পশ্চিমাদের ইন্ধনেই জর্জিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে ল্যাভরভ বলেন,‘আমি কেবল বলতে চাই, রাশিয়ান ফেডারেশনের সংলগ্ন যেসব দেশ আছে তাদেরকে অবশ্যই একটি  সিদ্ধান্তে আসতে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য তারা কতখানি ঝুঁকি নিতে রাজি আছে— সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে।’

‘কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিত্রতার ব্যাপারটি কারো খেয়ালখুশির ওপর নির্ভর করে না। এর সঙ্গে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্বার্থ সরাসরি সংশ্লিষ্ট।’

প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে গত এক বছর ধরে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইইউতে ইউক্রেনের যোগদানের তৎপরতা ঘিরে সৃষ্ট টানাপোড়েনের জেরেই ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

সূত্র : রয়টার্স

শেয়ার করুন