ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হাইকোর্টের নির্দেশের ৩ বছর পর পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট অ্যান্টি র্যাগিং ভিজিল্যান্স কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়। আগামী দুই বছরের জন্য এ কমিটি বহাল থাকবে। কমিটি হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের নির্যাতন বন্ধ করে ভুক্তভোগীদের দ্রুত প্রতিকার দিতে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ও স্কোয়াড গঠনের নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে এ কমিটি গঠনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও তিন বছর পর অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গঠন করল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যায়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে নবীন এক ছাত্রীকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় সারাদেশে সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনায় উচ্চ আদালতও হস্তক্ষেপ করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা যায়। কমিটির একটি অনুলিপি হাইকোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়কে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ অধিকতর সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদকে আহ্বায়ক করে ও উপ-রেজিস্ট্রার আব্দুল হান্নানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা ও আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল।