আফিফের উইকেটে হঠাৎ করেই চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। স্যাম কারেনের ১ ওভার বাকি ছিল, সেটি হয়তো বাটলার রেখেছিলেন ২০তম ওভারের জন্য। তবে সে পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি নাজমুল-তাসকিনরা।
১৯তম ওভারে প্রথমবারের মতো এসেছিলেন ক্রিস জর্ডান। প্রথম বলে ফাইন লেগ ও স্কয়ার লেগের মাঝ দিয়ে চার মেরেছেন নাজমুল, পরের বলে রেহানের মিসফিল্ডে এসেছে ডাবলস। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে তাসকিন আহমেদকে স্ট্রাইক দিয়েছিলেন নাজমুল। অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে টেনে তাতে চার মেরেছেন তাসকিন। পরের বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে এসেছে আরেকটি চার, তাতেই ম্যাচ ও সিরিজ জয়ের উল্লাসে মেতেছে বাংলাদেশ!
৭ বল বাকি থাকতেই এসেছে ৪ উইকেটের জয়। ৩ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ এগিয়ে ২-০ ব্যবধানে।
১১৮ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের পথচলা ঠিক দাপুটে ছিল না। তবে লম্বা সময় ধরেই নিয়ন্ত্রণ ছিল তাদের কাছে। একদিকে উইকেট হারালেও নাজমুল ছিলেন অবিচল, শেষ পর্যন্ত জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। চট্টগ্রামে খেলেছিলেন ঝোড়ো ইনিংস, আজ পরিস্থিতির চাহিদা অনুযায়ী খেললেন ৪৭ বলে ৪৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। বোলিংয়ে দুর্দান্ত মিরাজ ব্যাটিংয়েও রেখেছেন অবদান।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল ৬ উইকেটে। টানা দুই জয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে প্রথমবারের মতো স্মরণীয় সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দেখাল সাকিব ব্রিগেড। আগামী ১৪ মার্চ তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি।