বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। তবে এবারও বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া ও বিদেশ যেতে না পারার দুটি শর্তই বহাল রাখা হয়েছে। যদিও খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে শর্ত শিথিল করে তাঁকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজ রোববার বিকেলে বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া ও বিদেশ যেতে না পারার দুই শর্তে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর মত দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত থাকবে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন। সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে দুটি শর্তে তাঁকে মুক্তি দিয়েছিল ২০২০ সালের ২৫ মার্চ। তখন দেশে করোনা মহামারি চলছিল।
এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ২৪ মার্চ শেষ হতে যাচ্ছে। মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তাঁর ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আবেদনের ব্যাপারে মতামত দিতে তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আইন মন্ত্রণালয় মতামত দেওয়ার পর আবেদনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।