পানাম নগরীতে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের পানাম নগরীতে শিক্ষা সফরে গিয়ে স্থানীয় যুবকদের হামলা ও হেনস্থার শিকার হয়েছেন রাজধানী ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একদল শিক্ষার্থী।

শনিবার (১১ ই মার্চ) বেড়ানো শেষে ঢাকা ফেরার সময় ঐতিহাসিক পানাম নগরীর পাশে আমিনপুর মাঠে তাদের হামলায় প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জানা গেছে, সোনারগাঁওয়ের লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এবং ঐতিহাসিক পানাম নগরীতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সরকারি তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ৯০ জন শিক্ষার্থী বেড়াতে আসেন। শনিবার সারাদিন বেড়ানো শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছযটার দিকে ঢাকায় ফেরার পথে ঐ কলেজের মেয়ে শিক্ষার্থীরা আমিনপুর মাঠে স্থানীয় যুবকদের ইভটিজিংয়ের শিকার হন। পরে ছেলে শিক্ষার্থীরা ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।

দুর্বৃত্তদের হামলায় মাসুদ রানা, সুপ্তি, হৃদয়, ইমরান, খুশি আক্তার, মিঠুন মিয়া, রাত্রি, নুসরাত জাহান, আদ, আব্দুল খালেক, রাফি, শফিকুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, রিফাত ও বায়জিদসহ প্রায় ২৫জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ইমরান, সুপ্তি ও রাফির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে হামলার সময় স্থানীয় অনেকেই হামলাকারীদের চিনতে পারলেও কেউ তাদের বিষয়ে মুখ খুলছেন না।

সরকারি তিতুমীর কলেজের আহত শিক্ষার্থী আদিল মত ও পথকে জানান, আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পানাম নগরী ও জাদুঘরে বেড়াতে আসি। সারাদিন ঘুরে ফেরার পথে গাড়ি পার্কিংয়ে জায়গায় আসলে কয়েকজন যুবক আমাদের মেয়ে বন্ধুদের ইভটিজিং করে, আমরা ঘটনাটির প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের দুটি বাসে হামলা করে। এতে আমাদের ২৫জন সহপাঠী আহত হয়েছেন। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আসায় আমাদের সঙ্গে কোনো শিক্ষক ছিলেন না।

আরেক শিক্ষার্থী জানান, যখন আমাদের বাসে হামলা হয় তখন আমরা কয়েকজন ৯৯৯ এ কল দেই। ভাঙচুর শেষে পুলিশ আসার পর বিস্তারিত বলি। সবকিছু শোনার পর বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা ফোন নিয়ে অভিযোগ করার পর সঙ্গে সঙ্গে আমরা পুলিশ পাঠিয়েছি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের ঢাকা পাঠানো হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আমাদের সঙ্গে রেখেছি মামলার এজাহারের জন্য। অভিযুক্তদের শনাক্ত করে শিঘ্রই ব্যবস্থা করা হবে।

শেয়ার করুন