জ্বালানি চাহিদা পূরণে পাশে থাকবে কাতার: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে মধ্যপ্রাচ্যের তেল ও গ্যাস সমৃদ্ধ দেশ কাতার পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কাতার সফরকালে দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানির সঙ্গে বৈঠকে পাওয়া আশ্বাসের বিষয় তুলে ধরে তিনি একথা বলেন।

গত ৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী কাতার সফর শেষে দেশে ফেরেন। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে এলডিসি সম্মেলনে যোগ দিতে ৪ মার্চ দেশটিতে যান তিনি। সে সফরের বিস্তারিত জানাতে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী।

universel cardiac hospital

প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতিসংঘ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ৫ই মার্চ কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানির সঙ্গে তার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদা মেটাতে কাতার বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে দেশটির আমির আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন।

এছাড়াও ৬ই মার্চ কাতার ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন আমিরের মাতা শেখা মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। শেখা মোজা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ‘এডুকেশন অ্যাবোভ অল ফাউন্ডেশন’ এর আওতায় বাংলাদেশে প্রাথমিক স্তরে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের সহায়তার লক্ষ্যে ফাউন্ডেশনের সঙ্গে ১২.৭ মিলিয়ন ডলার অনুদান সম্পর্কিত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারের পক্ষে এই সমঝোতা স্মারকটি সাক্ষর করেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, সামগ্রিকভাবে, জাতিসংঘ সম্মেলনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ তার লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে বলে আমি মনে করি। এ সম্মেলনে আমরা রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের পথে এলডিসি থেকে উত্তরণ ও এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে আমাদের গৃহীত বিভিন্ন প্রস্তুতি ও কার্যক্রম সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবহিত করেছি। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকেও আমরা দোহা প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন এ আমাদের জন্য প্রযোজ্য বিষয়গুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে অঙ্গীকার করেছি। আমরা আশা করব, এই প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনে জাতিসংঘের আওতায় সাসটেইনেবল গ্রাজুয়েশন সাপোর্ট ফ্যাসিলিটি স্থাপনের ব্যাপারে যে উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে তা যথাযথভাবে এগিয়ে যাবে।

শেয়ার করুন