সাম্প্রতিক বিস্ফোরণ-আগুনের মতো ঘটনা বঙ্গবন্ধুর সময়েও দেখেছি, সতর্ক থাকা উচিত সরকারের: আমু

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় গ্যাস বিস্ফোরণ এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি। সরকারকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনা নিয়ে যে যাই বলুক না কেন আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সঙ্গে সঙ্গে অনেক সন্দেহও হয়। কারণ বঙ্গবন্ধুর সময়েও থানা লুট, পাটের গুদামে আগুন- এ রকম বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সংগঠিত হতো। পরবর্তীতে যা ঘটলো তা তো দেখেছি। আজকে বিভিন্ন জায়গায় গ্যাস বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগ হচ্ছে, এটা কোনো কথা হতে পারে না।’

সোমবার বিকালে রাজধানীর ইস্কাটনে ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর নিজ বাসভবনে জোটের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমু এসব বলেন।

১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক বলেন, ‘সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসুক। আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্ত, কেউ হস্তক্ষেপ করবে না, কে জড়িত তা বের হয়ে আসবে। সরকারের সতর্ক থাকা উচিত। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। এই জিনিসগুলো, অন্তর্নিহিত ব্যাপারগুলো সামনে এলে বোঝা যাবে কে এর সঙ্গে জড়িত। এসব বিষয় ধামাচাপা না দিয়ে আমরা মনে করি বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে খতিয়ে দেখা উচিত।’

১৪ দলকে ‘হালুয়া রুটির দল নয়’ দাবি করে আমির হোসেন আমু বলেন, ১৪ দলীয় জোট আদর্শিক। এখানে কোনো ফাটল নেই। যেহেতু আদর্শের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে, অনেক দল অনেক কিছু পায়নি, তারপরও জোটে আছে।

জোটে দ্বিধাবিভক্তি নেই দাবি করে আমু বলেন, ১৪ দল নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। সংবিধানের চার মূলনীতির উপরে জিয়া সংবিধানের উপরে কুঠুরি আঘাত করেছিলেন। জিয়াউর রহমান এদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রবেশ ঘটিয়েছিল। এই দেশে সংবিধান নিয়ে কথা বলার অধিকার দেওয়া হবে না।

আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বলেন, দেশে সংবিধানভিত্তিক রাজনীতি চলছে, চলবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে ১৪ দল ঐক্যবদ্ধ। এখানে আর কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নাই।

এক প্রশ্নের জবাবে আমু বলেন, কেউ যদি নির্বাচনে না আসে সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তারা যদি মনে করে নির্বাচনের আগেই তারা পরাজয় মেনে নিলে নিক।’ এক্ষেত্রে নির্বাচন বিতর্কিত হবে কী না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ তারা আগেও কয়েকবার করেনি। তাতে কী এসে গেছে? তারা অংশগ্রহণ না করলেও নির্বাচন হয়েছে এবং সরকার গঠনও হয়েছে, পরিচালিতও হয়েছে।

বৈঠকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, আওয়ামী লীগের পক্ষে দলটির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভেকেট মৃনাল কান্তি দাস, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. অসিত বরন রায়, বাংলাদেশের গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসকে সিকদার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, জাতীয় পার্টি জেপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের সিদ্দিকী আবু, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুকীসহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন