মোবাইলফোন অপারেটর সিটিসেলের লাইসেন্স চূড়ান্তভাবে বাতিল করেছে ডাক ও টেলিযোগ বিভাগ। এর মাধ্যমে নিভে গেল বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল অপারেটর কোম্পানি সিটিসেলের সব আলো।
আজ মঙ্গলবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসিতে মোবাইল ফোন অপারেটর লাইসেন্স বাতিলের পূর্বানুমোদনের চিঠি এসেছে। লাইসেন্স বাতিলের পূর্বানুমোদন দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) তার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কমিশন বৈঠকে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। বিষয়টির জন্য সরকারের পূর্বানুমোদন চেয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে চিঠি পাঠায়। সরকারের কাছ থেকে আজ মঙ্গলবার লাইসেন্স বাতিলের অনুমোদনের চিঠি পেয়েছে বিটিআরসি। এখন সিটিসেলকে চিঠি পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিটিআরসির কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন বলেন, আমরা মন্ত্রণালয় থেকে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের পূর্বানুমোদনের চিঠি পেয়েছি। আমরা সিটিসেলকে দ্রুত লাইসেন্স বাতিলের চিঠি পাঠাব।
জানা গেছে, আগামীকাল বুধবার (১৫ মার্চ) সিটিসেলকে লাইসেন্স বাতিলের চিঠি পাঠানো হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপসচিব এস এম তারিকের ১৪ মার্চ সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, কমিশন সভার সিদ্ধান্ত ও বিটিআরসির সুপারিশ মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারের প্রাপ্য বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ না করায়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১-এর ৪৬(৩) (খ)-এর বিধান অনুযায়ী, প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (পিবিটিএল)-এর অনুকূলে ইস্যুকৃত ২জি সেলুলার মোবাইল অপারেটর লাইসেন্স বাতিলের পূর্বানুমোদন নির্দেশক্রমে প্রদান করা হলো।
সিটিসেলের সংযোগ সেবা ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর থেকে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। তরঙ্গ ও নবায়ন করা তরঙ্গের বরাদ্দও ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। শুধু ছিল ২জি লাইসেন্স, এবার বাতিল হলো সেটিও।
সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা রয়েছে ২১৮ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার ৬৫৯ টাকা। এখন সেই টাকা উদ্ধারের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে।