তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় আরও দুটি খাল খননের বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ। এ খবরের সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খাল খননের বিষয়টি সত্যি হলে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং যৌথ নদী কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ভারতকে জানানো হবে। তবে দুই দেশের বিদ্যমান ভালো সম্পর্ক রেখে এটি করা হবে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন জনকূটনৈতিক বিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন।
অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, টেকসই ও স্বেচ্ছায় ফেরত নেওয়া হবে রোহিঙ্গা সংকটের সঠিক সমাধান। তবে ফেরত নেওয়ার বিষয়টি এখনও ধীরগতি হচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে মিয়ানমারকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে অনুষ্ঠিত ওই ব্রিফিংয়ে গত এক সপ্তাহে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন ইভেন্ট ও বৈঠকে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এবং অর্জন তুলে ধরেন সেহেলি সাবরীন।
ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকরা জানতে চান বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিয়ানমার সফর করে আসছেন। সেখানের পরিস্থিতির ওপর কোন রিপোর্ট দিয়েছে কিনা, জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রক্রিয়াধীন আছে। আমরা এখনও কোন রিপোর্ট পায়নি।
প্রসঙ্গত তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় আরও দুটি খাল খননে প্রায় ১ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ বিভাগ।
এই উদ্যোগে পানি নিয়ে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা বাড়বে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়।
বিষয়টি দৃষ্টি আর্কষন করা হলে জনকূটনৈতিক বিভাগের মহাপরিচালক বলেন, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে আসন্ন ইউএন ওয়াটার কনফারেন্সেও বিষয়টি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তোলা হবে। তবে এর সত্যতা খোঁজা হচ্ছে।
সাপ্তাহিক ব্রিফিং দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক ও ‘রজিনা ডায়লগ’, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মিজ অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ানের ঢাকা সফর, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড এবং বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেন্ট বৈঠকের বিষয় তুলে ধরা হয়।