দিল্লির জেলে বসেই ফের বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে হত্যার হুমকি দিলেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, ‘এক থা টাইগার’ তারকাকে হত্যা করাই তার জীবনের লক্ষ্য। সঙ্গে অবশ্য এও সাফ জানিয়ে দেন, সালমান যদি প্রকাশ্যে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চান, তাহলেই এ ঘটনার নিষ্পত্তি হবে।
সম্প্রতি কারাগারে বসে একটি সাক্ষাৎকার দেন ভয়ংকর গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের লক্ষ্য হলো সালমান খানকে হত্যা করা। সালমানের নিরাপত্তা কমিয়ে দিলেই আমি তাকে হত্যা করব। তাকে আমাদের সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তার উচিত আমাদের মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা।’
গত বছর পাঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে প্রকাশ্যে গুলি করে মারা হয় এই লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নির্দেশেই। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। লরেন্স বলেন, সালমান যদি ক্ষমা চান, তাহলে বিষয়টি শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সে অহংকারী। মুসেওয়ালাও এমন ছিল। তাই সালমান যদি ক্ষমা না চান তবে তার পরিণতি মুসেওয়ালার মতই হবে।’
কেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের টার্গেট সালমান খান?
পিছিয়ে যেতে হবে দুই দশক। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র বলে গণ্য হয় কৃষ্ণসার হরিণ। কৃষ্ণসার হরিণের রক্ষকর্তা বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের অংশ লরেন্স। ১৯৯৮ সালে সালমান খানের উপর যোদপুরে ছবির শুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সেই সময় থেকে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের চক্ষুশূল ভাইজান।
এর আগে বেশ কয়েক বার সালমান খানকে শার্প শ্যুটার দিয়ে হত্যার ছক কষেছে লরেন্স বিষ্ণোই। ২০১৮ সালে প্রকাশ্যে সে জানিয়েছিল, ‘যোদপুরে সালমান খানকে আমরা হত্যা করব।’
গত বছরের ২৯ মে প্রকাশ্য দিবালোকে মাঝ রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা সিধু মুসেওয়ালাকে। যার দায় নিয়েছিল কানাডার গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার, যিনি লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত।
এর কয়েক দিন পরেই সকালে হাঁটতে বেরিয়ে হুমকি চিঠি পান সালমান খান। যেখানে তাকে ও তার বাবা সেলিম খানকে সিধুর মতোই মেরে ফেলার কথা বলা হয়। এরপর বাড়ানো হয় সালমানের নিরাপত্তা। এছাড়া বন্দুক সঙ্গে রাখার অনুমতিও পান তিনি। গাড়ির কাচও বদলে বুলেটপ্রুফ করে নেন বলিউডের টাইগার।