আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির সঙ্গে ভেতরে-ভেতরে সরকারের নেগোসিয়েশনের (সমঝোতা) গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, কেউ বলেন ৬০ থেকে ৭০ আসন; কেউ বলেন ৮০ আসনের কথা হচ্ছে বিএনপির সঙ্গে। কারা ছড়ায় এই গুজব? আসন দেওয়ার মালিক তো জনগণ।
আজ রোববার ‘কর্তৃত্ববাদের উত্থান ও বিপন্ন গণতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। রাজধানীর একটি হোটেলে এই সভার আয়োজন করে জিয়া পরিষদ।
যে মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়, সেখানে সীমিতসংখ্যক আসন ছিল। অনেকেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ বিষয়ে আয়োজকেরা জানান, পুলিশের কাছ থেকে ১২০ জনের সভা আয়োজনের অনুমতি পাওয়া গেছে। তাই এর চেয়ে বেশি চেয়ার বসানো হয়নি।
বিষয়টির উল্লেখ করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের সংবিধান তো সভা-সমাবেশের অধিকার দিয়েছে। অথচ হোটেলের ভেতরে সভা করতেও পুলিশের অনুমতি লাগছে। কর্তৃত্ববাদী সরকারের এর চেয়ে বড় প্রমাণ আর কী লাগে। দেশের গণতন্ত্রের লেশমাত্র অবশিষ্ট নেই। বিএনপি সভা করতে গেলে ৩৬ ধরনের শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়।
সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার কোনো পূর্বশর্তই এখন দেশে উপস্থিত নেই উল্লেখ করে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে তাদের সঙ্গে কিসের আলোচনা হবে? নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রথম ধাপ নির্বাচনের পরিবেশ, আইনের শাসনের মতো পূর্বশর্তগুলো অনুপস্থিত। অথচ এগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। কর্তৃত্ববাদের সহায়ক শক্তিদের লুট করার সুযোগ দিতে হয়। এই লুটের সিন্ডিকেটের কারণেই ডলার নেই, ব্যাংকে টাকা নেই।