রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের শিশু অধিকারবিষয়ক কমিশনার মারিয়া আলেক্সিয়েভনা এলভোভা-বেলোভা। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু কিংবা যুদ্ধের মাঠের কোনো জেনারেলের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি হয়নি। তাহলে মারিয়া বেলোভা কতোটা প্রভাবশালী?
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো তথ্য বলছে, মারিয়া বেলোভার রাজনৈতিক উত্থান হয়েছে বিস্ময়কর গতিতে। ২০২১ সালে পুতিন তাঁকে শিশু অধিকারবিষয়ক কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন। ২০১৯ সালে পুতিনপন্থী রাশিয়া ইউনাইটেড পার্টিতে যোগ দেন মারিয়া। কিছুদিনের মধ্যে তিনি দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন। খবর দ্য টেলিগ্রাফ, দ্য ইউরোপিয়ান টাইমস ও দ্য স্কাই নিউজের।
রাশিয়ার মধ্যাঞ্চলের পেনজা শহরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা মারিয়া বেলোভার (৩৮) স্বামী একজন ধর্মযাজক। তাঁদের পাঁচ সন্তান রয়েছে। পাশাপাশি ১৮ শিশুকে দত্তক নিয়েছেন তাঁরা। সেই হিসাবে এই দম্পতি ২৩ সন্তানের মা-বাবা।
গত মাসে টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে মারিয়া বেলোভা ইউেক্রেনের মারিউপোলের এক কিশোরকে (১৫) ‘দত্তক’ নিতে পারায় প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ধন্যবাদ জানান। ইউক্রেনের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলীয় শহর মারিউপোল রুশ অভিযানে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে।
শিশুদের গিটার শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মারিয়া। তিনি পেনজা নামে একটি ফাউন্ডেশনও গড়ে তুলেছিলেন। যেখানে প্রতিবন্ধী ও বয়স্কদের বিশেষ সেবা দেওয়া হতো। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি গণমাধ্যমের নজর কাড়েন। যদিও ওই ফাউন্ডেশনের তহবিল নিয়ে বিতর্ক আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মস্কো ইউক্রেনের দখল করা অঞ্চলগুলো থেকে ছয় হাজারের বেশি শিশুকে রাশিয়ায় নিয়ে গেছে। তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হতে পারে প্রেসিডেন্ট পুতিনের রাজনৈতিক আদর্শে দীক্ষিত করা। তবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত রুশ দূতাবাস এই অভিযোগ সরাসরি নাকচ করেছে।