ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে সুদের হারে এক অঙ্কের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ সীমা তুলে নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। এর পরিবর্তে বাজারে সুদের চাহিদা অনুযায়ী বেঞ্চমার্ক ভিত্তি বা রেফারেন্স রেট বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে সুদহার ১৩ শতাংশ হতে পারে। বর্তমানে সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা রয়েছে ৯ শতাংশ।
আগামী অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে উল্লেখ করা হবে সুদহারের বিষয়টি। রোববার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মূলত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ঋণের পরবর্তী কিস্তি পেতেই সুদহারের সীমা তুলে দেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত লাইবর রেট বা বেঞ্চমার্কের আদলে ব্যাংকের জন্য নির্ধারিত সুদ যোগ করে মোট সুদহার নির্ধারণ করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
তবে এর ভিত্তি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এটা নিয়ে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে সুদহারের ভিত্তি ৮ শতাংশ এবং আরও ৫ শতাংশ পর্যন্ত যোগ হতে পারে। তবে ব্যাংক ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ যেটা আছে সেটা থাকছে না। ২০২৩–২৪ অর্থবছর থেকে ক্ষেত্র বিশেষে সাড়ে ১১ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশ হতে পারে সুদের হার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, আগামী জুনের তৃতীয় সপ্তাহে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা হবে। চলমান মুদ্রানীতির কার্যক্রম ও আগামী মুদ্রানীতিতে কী থাকবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। এছাড়া ব্যাংক ঋণের সুদহার, একক রেট এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।