নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্য সরকার তাঁর সম্পত্তির মিউটেশন (নামজারি) করেছে। বীরভূম জেলার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর এই কাজ গতকাল সোমবার শেষ করেছে বলে জানা গেছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
বীরভূমের জেলা প্রশাসক (ডিএম) বিধান রায় প্রচারমাধ্যমকে বলেছেন, অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেনের নামে থাকা জমি উত্তরাধিকার সূত্রে অমর্ত্য সেনের নামে মিউটেশন করে দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ির ১৩ শতক জমির মালিক বিশ্বভারতী। ফলে তাদের জমি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া চলবে।
রাজ্য সরকার অমর্ত্য সেনের নামে জমি নামজারি করে দেওয়ার পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এখনো বেআইনিভাবে জমি দখল করে আছেন অমর্ত্য সেন। তাদের বক্তব্য, আশুতোষ সেনকে সোয়া এক একর জমি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অমর্ত্য সেন ১৩ শতক বেশি জমি ‘দখল’ করে আছেন। অর্থাৎ, তাঁর কাছে রয়েছে ১ দশমিক ৩৮ একর জমি, যা তাঁকে ছাড়তে হবে। জেলা প্রশাসন অবশ্য ১ দশমিক ৩৮ একর জমিই অমর্ত্য সেনের নামে নামজারি করিয়েছে সোমবার।
বিশ্বভারতীর তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে বলা হয়েছে যে তারা নামজারির বিষয়টি জানতে পেরেছে। এ বিষয়ে তারা নির্দিষ্টভাবে প্রচারমাধ্যমে কিছু জানায়নি। তবে বলেছে, অনেকের ধারণা হয়েছে যে পুরো জায়গাটা অমর্ত্য সেনের নিজ নামে দখল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ২৯ মার্চ বা তার আগে অমর্ত্য সেন বা তাঁর প্রতিনিধিদের বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অ্যাডমিশন বিল্ডিংয়ের আলোচনাকক্ষে বিশ্বভারতীর শুনানির জন্য উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। গত রোববার একটি চিঠি পাঠিয়ে তাঁকে ওই দিন উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। অমর্ত্য সেন আপাতত বিদেশে রয়েছেন। সরকারি তরফে জমিসংক্রান্ত জটিলতা কাটলেও, বিশ্বভারতী এখনো বিষয়টি নিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে বলেই অধ্যাপক সেনের ঘনিষ্ঠজনেরা মনে করছেন।