প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ভেতর ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া।
দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ সোমবার (২০ মার্চ) এক টুইট বার্তায় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আদালতে আঘাত হানার হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘এটি চিন্তা করা সম্ভব সাগরে অবস্থানরত রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ থেকে একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হেগের আদালত ভবনের ভেতর আঘাত করেছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘সবাই সৃষ্টিকর্তা ও রকেটের অধীনে আছে…সতর্কতার সঙ্গে আকাশের দিকে তাকান।’
পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জেরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি করিম খান ও বিচারকদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে রাশিয়া।
রাশিয়ার এসব হুমকি-ধামকি দেওয়ার পর নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা এসব ‘হুমকিতে চিন্তিত।’
আইসিসি পরিষদের প্রেসিডেন্সি এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করার প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দেওয়ায় প্রচেষ্টায় আমরা অত্যন্ত ব্যথিত।’
গত ১৭ মার্চ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও প্রেসিডেন্ট দপ্তরের শিশু অধিকার বিষয়ক কমিশনার মারিয়া লোভা-বেলোভার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইউক্রেন থেকে শিশুদের জোরপূর্বক রাশিয়ায় নিয়ে এসেছেন তারা। যা যুদ্ধাপরাধের শামিল।
বিশ্বের ১২৩টি দেশ এই আদালতের সদস্য। বিধি অনুযায়ী, আইসিসি যখন কারও বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করবে এবং অভিযুক্ত যদি্ এই সদস্য দেশগুলোতে যান তাহলে তাকে আটক করতে হবে এবং আদালতের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। আইসিসির নিজস্ব কোনো পুলিশ বাহিনী নেই। ফলে এই আদালত পুরোপুরি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর নির্ভরশীল।
সূত্র: আল জাজিরা