টানা চারটি বছর ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ হারেনি ভারত। অবশেষে তাদের সেই রাজত্বের অবসান ঘটালো অস্ট্রেলিয়া। চেন্নাইয়ে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।
অথচ প্রথম ওয়ানডেতে হেরে পিছিয়ে পড়েছিল অসিরাই। তারপর ১০ উইকেটের দাপুটে জয়ে সিরিজে ফেরে স্টিভেন স্মিথের দল। শেষ ওয়ানডেতে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর জিতেছে ২১ রানে। এই জয়ে ওয়ানডে র্যাংকিংয়েও এক নম্বরে উঠে এসেছে তারা।
ভারতের লক্ষ্য ছিল ২৭০ রানের। একটা সময় মনে হচ্ছিল, সহজেই জিতে যাবে তারা। ২ উইকেটে ছিল ১৪৬ রান। সেখান থেকে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরে অস্ট্রেলিয়া। মূলত বিরাট কোহলি (৫৪) আউট হওয়ার পরই খেই হারিয়ে ফেলে ভারত।
হার্দিক পান্ডিয়া ছিলেন শেষ আশা। কিন্তু ৪০ বলে ৪০ করা এই ব্যাটারকে অ্যাডাম জাম্পা তুলে নিলে জয়ের রাস্তা পরিষ্কার হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার। ৪৯.১ ওভারে ২৪৮ রানে অলআউট হয় ভারত।
লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পা ৪৫ রানে নেন ৪টি উইকেট।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার এগারজন ব্যাটারের মধ্যে দশজনই দুই অংকে পৌঁছলেন। কিন্তু ফিফটি করতে পারলেন না কেউ। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট তুলে নেয় ভারত। এক ওভার বাকি থাকতে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ২৬৯ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ে ফেলে তারা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো সূচনা পেয়েছিল অসিরা। ডেভিড ওয়ার্নার ফিরলেও আগের ম্যাচে ভারতকে ১০ উইকেটে হারানোর নায়ক দুই ওপেনারের ওপর ভরসা রাখে সফরকারীরা।
ট্রাভিস হেড আর মিচেল মার্শ সেই আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। ৬৫ বলে তারা গড়েন ৬৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। তবে ৩১ বলে ৩৩ করে হেডকে ফেরানোর পর দ্রুত আরও দুটি উইকেট তুলে নেন হার্দিক পান্ডিয়া। স্টিভেন স্মিথ ০ আর মার্শ আউট হন ৪৭ বলে ৪৭ করে।
চার নম্বরে নামা ডেভিড ওয়ার্নার ৩১ বল খেলে করেন ২৩। হন কুলদ্বীপের শিকার। মার্নাস লাবুশেনকেও (৪৫ বলে ২৮) তুলে নেন এই স্পিনার। ১৩৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে অস্ট্রেলিয়া।
ষষ্ঠ উইকেটে মার্কাস স্টয়নিস আর অ্যালেক্স ক্যারে ৫৪ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়েন। স্টয়নিস (২৬ বলে ২৫) সেট হওয়ার পর অক্ষর প্যাটেলের শিকার হলে ভাঙে এই জুটি। তারপরও অস্ট্রেলিয়া লড়াই চালিয়েই গেছে।
অ্যালেক্স ক্যারে ৪৬ বলে ৩৮, শন অ্যাবট ২৩ বলে ২৬, অ্যাশটন অ্যাগার ২১ বলে ১৭, মিচেল স্টার্ক ১১ বলে ১০, এমনকি এগার নম্বর ব্যাটার অ্যাডাম জাম্পাও করেন ১১ বলে অপরাজিত ১০ রান।
ভারতের হয়ে হার্দিক পান্ডিয়া আর কুলদ্বীপ যাদব নেন ৩টি করে উইকেট।